পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাষ্ট্ৰী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। هما O تلا জগতের আদর্শ সতী সংসার-বিরক্ত। ধৰ্ম্মপ্রাণ শরৎসুন্দরী, আপনার হস্তে সম্পত্তি রাখিতে কিছুতেই ইচ্ছা করিলেন না । পুত্রকে নানা প্রকারে বুঝাইয় তাহার হস্তে সম্পত্তির ভার প্রদান করিলেন । কুমার কেবল মাতৃ আজ্ঞা পালনার্থ, নামে মাত্র সম্পত্তির ভার গ্রহণ করিলেন। তিনি সামান্ত কাৰ্য্যও মাতার অনুমতি ব্যতীত সম্পাদন করিতেন না। মহারাণী শরৎসুন্দরী, পুত্রের হস্তে সম্পত্তির ভার দিয়া কাশী যাত্র মনন করিলেন । তিনি, বিধবা হইয় অবধি ধৰ্ম্মকার্য্য ব্যতীত আপনার শরীরের প্রতি অনুমাত্রও দৃষ্টিপাত করেন নাই। বরং ব্রত উপবাসে শরীরকে ক্ষীণ করিবার জন্য নিয়তই চেষ্টা করিতেন। অতএব, ক্রমে ক্রমে নান। প্রকার ব্যাধিতে আক্রান্ত হইয়াছিলেন। এক্ষণে র্তাহার কার্য্য প্রণালীর কিয়ং পরিমাণ আলোচনা করা যাইতেছে। এই সংসাররূপ মহাশ্মশানে ধাৰ্ম্মিকদিগের দেহ, জীবন থাকিতেও মুত প্রায় । বিষয়ী লোক হইতে র্তাহীদের চরিত্র এবং কৰ্ত্তব্য সম্পূর্ণ পৃথক । বিষয়মুগ্ধ ব্যক্তিগণ, আপনার অনিত্য শরীর লইয়াই ব্যস্ত ; শরীরের সুখ, শরীরের সৌন্দৰ্য্য,—শরীরের যত্নেই দিন যাপন করে। আর ধাৰ্ম্মিকের জগৎকে নশ্বর ভাবাপন্ন জানিয়া আপনার দেহকে পঞ্চ মহাভূতের সমষ্টি জড় মাত্র দেখিয়া আধ্যাত্মিক জগতে বিচরণ করিয়া থাকেন। তাহারা, সংসারের কোলাহলের মধ্যে থাকিয়া ও নীরব ও নিম্পন্দ। সংসারের সমস্ত কৰ্ম্মই করিতেছেন, অথচ র্তাহার। এরূপ নিলিপ্ত, যেন তাহাদের সঙ্গে সংসারের কোন সম্পর্কই নাই। অন্তের। তাহাদিগকে পৃথক জীব বলিয়া বিবেচনা করিয়া র্তাহাদিগের হৃদয়ের গভীর মহত্ত্বকে, আপন আপন স্বার্থ সাধনের সদুপায় বলিয়া স্থির করে। কেননা ধাৰ্ম্মিকের নিকট নশ্বর অর্থ, লোষ্ট্রর ন্যায়