পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

J حياته ծ C) Ե মহারাণী শরং সুন্দরীর জীবন-চরিত ; কলুষিত, ধাৰ্ম্মিকের কেন তাহাই হয় না। তাহারা সেই অশান্তির হিংসানলে দগ্ধ হইয়া থাকে। আর সেই জন্যই দুরাত্মারা আপনার দেহের নবদ্বার দিয়া অহরহ ধাৰ্ম্মিকের কলঙ্ক-ধূম নির্গত করিয়া থাকে। কিন্তু, চরাচর জগৎ তাহ। লক্ষ্যও করেন । বরং সকলেই প্রত্যক্ষ করে যে, পিশাচদিগের সেই কলঙ্ক-ধূমে কিম্বা তাহার পূতিগন্ধে ধাৰ্ম্মিকের দেহের কিছুই অনিষ্ট করিতে পারেন। পক্ষান্তরে তদ্বারা তাহারাই দগ্ধ হইয়া থাকে। ধাৰ্ম্মিকের আত্মা, পৃথিবীর অনেক উদ্ধে, অবস্থিত। পিশাচগণ, তাহার পার্থিব দেহ আক্রমণে সাহসী হইলেও র্তাহার সুপবিত্র হৃদয় স্পর্শ করিতে পারে না । মহা তপস্বিনী, মহারাণী শরৎসুন্দরী, সেইরূপ পবিত্ৰহৃদয় অনন্ত সাধারণ, মহিলাকুলের শিরোমণি ছিলেন। তিনি, দেহকে একটা পদার্থ বলিয়াই জানিতেন না। বিধবা হইয়া অবধি তিনি আপনার দেহকে মৃত বলিয়া বিশ্বাস করিতেন। সুতরাং বিধবা হইবার মুহূৰ্ত্ত হইতে সেই অকিঞ্চিৎকর মৃত প্রায় দেহ, ধৰ্ম্মকাৰ্য্যে উৎসর্গ করিয়া ছিলেন। র্তাহার আপনার শরীরের প্রতি যত্ন মমতা কিছুই ছিল না। সেই মৃত প্রায় দেহ, যেন কেবল পিশাচ, কুকুর, শৃগাল, গৃধিণীগণের স্বার্থ চরিতার্থের জন্যই ছিল। তাহার। সেই নিমিত্ত র্তাহার ক্ষুধা, তৃষ্ণা, ব্যাধি, শোক, দুংখ কিছুই অনুভব না করিয়া আপনার স্বার্থের কারণ যখন তখন বিরক্ত করিত। কিন্তু লোকললাম-ভূত স্বগীয়া দেবী শরৎসুন্দরীর জ্ঞানের কি আশ্চৰ্য্য প্রভাব ! মহত্ত্বের কি অনিৰ্ব্বচনীয় শক্তি –আত্মোৎসর্গের কি নিরুপমা মধুরিমা ! তিনি, সেই শৃগাল কুকুরের জন্য, অকপট চিত্তে আত্মদেহ উৎসর্গ করিয়াছিলেন । অর্থার প্রার্থন শুনিতে স্নান, আহার, শয়ন উপবেশন, কিম্বা ব্যাধির ক্লেশ যেন কিছুই লক্ষ্য করিতেন না। তিনি ক্ষুধাতুরকে আহার দিলেই