পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ł মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চতি। :צ צי বৎসর বয়স্ক দুইটী বালক, অতি মলিন বেশে রাজপথের পার্শ্বে উপবেশন করিয়া আছে। তাহাদের আকৃতি, বেশ, এবং অবস্থা দেখিয়া তিনি, বালকদ্বয়কে অনন্যসহায় দূরদেশবাসী বলিয়া স্থির করিয়া এক জন দাসীকে তাহাদিগের সন্ধান জন্য প্রেরণ করিলেন। দাসী, সন্ধান জানিয়। বালকদ্বয়ের অবস্থা এইরূপ জানাইল যে, তাহদের বাড়ী সুদূর পূর্ব দেশে। তাহাদিগের নিজের অবস্থা তত ভাল নহে যে, আশানুরূপ বিদ্যাশিক্ষা করিতে পারে, সেই কারণ দুইজনে বিদ্যা পিপাসু হইয়। বাঁড়ীতে না বলিয়া বহুদেশ পর্য্যটন করিতে করিতে এখানে আসিয়াছে। দয়াময়ী মহারাণী তখনই তাহাদিগের অবস্থিতির স্থান নির্দেশ এবং আহারাদির ব্যবস্থা করিয়া দিলেন । তাহার পরে তাহাদিগের দুই জনের ইচ্ছামত পাঠ সমাপ্তি পৰ্য্যন্ত, পাঠের এবং ভরণপোষণের সমস্ত ব্যয় দিয়৷ তাহাদিগকে চরিতার্থ করিয়াছিলেন । * কলিকাতা বাদুড়বাগান নিবাসী * * * কাঞ্জালাল নামক এক ব্যক্তি, উত্তর বঙ্গ রেলওয়েতে কাৰ্য্য করিতেন। তিনি কোন অপরাধে কারাবদ্ধ হইয়া এককালে নিঃস্ব হইয়াছিলেন। রাজসাহীর জেল হইতে মুক্ত হইবার সময়, তিনি শারীরিক অত্যন্ত পীড়িত হইয়া সামান্ত কিছু ভিক্ষা লাভ নিমিত্ত বহু কষ্টে মহারাণীর কাছারীতে উপস্থিত হইয়াছিলেন। মহারাণী, লোক মুখে তাহার দুরবস্থার বিষয় অবগত হইয়া দুই মাস কাল চিকিৎসা করাইয়া আরোগ্য হইলে নগদ চারিশত টাকা দিয়া বিদায় করিয়াছিলেন । অন্য একজন রেলওয়ের কৰ্ম্মচারীকেও কারাভোগের পর দুইশত টাকা দিয়া নানারূপে সাস্থনা করিয়া বিদায় করিয়াছিলেন । মাইহাদের একজন বি,এ পাশ করিয়া শিক্ষকতা করিতেছেন এবং অন্ত জন চিকিৎসা বিw্যায় পারদর্শী হইয়া এসিষ্টাণ্ট সার্জন হইয়াছেন। .