পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> >'R মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। 尊 so পূৰ্ব্বেই উল্লিখিত হইয়াছে যে, দানকালে কৰ্ম্মচারীগণ, অনেক সময়েই নাবালকের সম্পত্তি বলিয়া বাধা দিতেন ! মহারাণী, অনেক সময়ে আপনার বুদ্ধি কৌশলে প্রকারাস্তরে সেই কৰ্ত্তব্য সাবধানে সংসাধন করিতেন। র্তাহার পুরোহিত বংশীয় একটা বালককে তিনি, আপনার ব্যরে বিক্রমপুর এবং নবদ্বীপে শাস্ত্রাধ্যয়ন করাইয়া কৃতবিদ্য করিয়াছেন। সেই বালক কৃতবিদ্য হইয়া পুঠিয়া রাজধানীতে অবস্থিতি কালে, মহারাণী জানিলেন যে, দুৰ্ব্বহ তিন হাজার টাক৷ ” ঋণের জন্য পুরোহিত-বালক সৰ্ব্বদাই ক্ষুঃ হইয়া থাকেন। একত্রে এই তিন হাজীর টাকা দানে কৰ্ম্মচারিগণ, কিছুতেই সন্মত হইবেন না ; আর মহারাণী, অন্য প্রকারে এই টাকা প্রদান করিলেও, অন্য পুরোহিতগণ, মনঃকষ্ট পাইতে পারেন। অথচ তিনি, সকলকেই সমান চক্ষে দেখিয়া থাকেন। অন্যের এরূপ ঋণ নাই যে, সকলকেই সমান উপায়ে সস্তুষ্ট করিতে পারেন। শেষে তিনি, চিন্তা করিয়া ঋণী পুরোহিত পুত্রকে তিন হাজার টাকা ঋণ দিয়া ক্রমশঃ লইবার জন্য কৰ্ম্মচারীদিগের নিকট প্রস্তাব করিলেন । কৰ্ম্মচারীরা এতদ্বারা প্রত্যক্ষে কোনও রূপ ক্ষতি প্রদর্শন করিতে অশক্ত হইয়। তাছার প্রস্তাবে সম্মত হইলেন। কিছু দিন পর তিনি একটা চতুষ্পাঠী স্থাপন উপলক্ষে সেই পুরোহিতকে মাসিক চল্লিশ টাকা বৃত্তি অবধারণ করিয়া এবং আর কিছু দিন পরে একটা অতিরিক্ত স্বস্ত্যয়ন উপলক্ষে মাসিক কুড়ি টাকা বন্ধান করিয়া দিলেন । তাহার পরে অন্যান্য উপলক্ষেও কিছু কিছু দিয়া অল্প দিনের মধ্যে সেই তিন হাজার টাকা ঋণ হইতে পুরোহিত সন্তানকে মুক্ত করিয়া দিয়াছিলেন । তিনি যে আঠার বৎসর কাল স্বহস্তে সম্পত্তি রাখিয়াছিলেন । ইহার মধ্যে কোনও চাকর বিশেষ অপরাধ করিলেও, তাহাকে কৰ্ম্ম হইতে অবসর করেন নাই। র্তাহার তেজস্বিনী মূৰ্ত্তি, আর