পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত্ন । ك في لا( নিরূপম দয়াই সকলের চরিত্ৰশোধক শাসন-দণ্ডরূপে প্রতীয়মান হইত। ভৃত্যগণ, এই ধৰ্ম্মময়ী দেবীর কোনও প্রকার অনিষ্ট করিতে মহা আতঙ্কগ্রস্ত হইত , তাহার পর, তাহার অপার করুণা হইতে বঞ্চিত হইবে বলিয়া ভয়ে অনেক দুষ্ট লোকও, শোধিত চরিত্রবান হইয়াছিল । র্তাহার স্মরণশক্তি নিতান্ত প্রখর ছিল । প্রত্যহ অপরিচিত শত শত প্রার্থীকে তিনি স্বয়ং না দেখিতে পাইলেও যাহার নাম এবং অবস্থা একবার শুনিতেন, দশ বৎসর পর সে পুনরায় উপস্থিত হইলে তাঁহার অবস্থা শুনিবামাত্র অনায়াসে চিনিতে পারিতেন। পরিচিত অপরিচিত যে কোনও ব্যক্তিই কেন না হয়, একবার তাহার নিকটে কোনও সাহায্য পাইলে, আজীবন তাহার অন্য প্রকারের বিপদ উদ্ধারের কি উন্নতির জন্য, যেন তিনি সৰ্ব্বথা দায়ী বলিয়া বিবেচন। করিতেন। সে ব্যক্তি সদ্ভাবে থাকিলে, মহারাণী তাহাকে সৰ্ব্বপ্রকারে চিরদিনই স্নেহের চক্ষে দেখিতেন । র্তাহার দয়া বিতরণে স্বদেশী বিদেশী, স্বধৰ্ম্মী বিধৰ্ম্মী বিচার ছিল না। তিনি দানের জন্য অনেক সময় ঋণ করিতে, এবং ঋণের সুবিধা না হইলে যে পর্য্যন্ত অর্থীর প্রাগন। পূর্ণ করিতে না পারিতেন, সে পৰ্য্যন্ত অনাহারে রোদন করিতেন । তিনি, কাহারও নিষ্কর ভূমি, জরিপে পরিমাণ অপেক্ষ অতিরিক্ত দৃষ্ট হইলেও বাজেয়াপ্ত করেন নাই। যদি কেহ দলীল দেখাইতে না পারিতেন, তবে তাহার দীর্ঘকাল ভোগাধিকারই উৎকৃষ্ট প্রমাণরূপে গণ্য করিতেন । একবার তাহার কার্য্যকারকের একজন ব্রাহ্মণের দলীল না থাকায় দশ বিঘা ব্রহ্মোত্তর বাজেয়াপ্ত করিয়াছিলেন। ব্রাহ্মণ বহু চেষ্টাতেও এ বিষয় মহারাণীর গোচর করিতে পারিয়া ছিলেন না । এক দিন মহারাণী পালকযোগে পিতৃগৃহে যাইবার সময় পথে সেই ব্রাহ্মণ