পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N Bało মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। কিছুদিন পরে বহি বাহির হইল, কিন্তু যে যে তারিখে মোক্তারের মারফত মহারাণীর নামে কোম্পানীর কাগজের সুদ খরচ পড়িয়াছে, সেই সেই তারিখের পাতা পরিবর্তিত হইয়াছে। কালেক্টর মিঃ হিলি সাহেব তজ্জন্য অনেকগুলি কৰ্ম্মচারীকে কৰ্ম্ম হইতে অবসর করিয়া মোক্তারের চক্রাস্তে যে এইরূপ হইয়াছে, তাহাই বিশ্বাস করিলেন । এবং তিনি মহারাণীর কৰ্ম্মচারীদিগের সাহায্যে মোক্তারকে প্রতিবাদী করিয়া মাজিষ্ট্রেটম্বরূপে তদন্ত পূৰ্ব্বক মোক্তারকে সেশন আদালতের বিচারার্থ অৰ্পণ করেন । এই মোকদ্দমার সময় মোক্তার, নির্দোষচরিত্রা মহারাণীর নানারূপ নিন্দ করিতে লাগিল । কিন্তু বিস্তর কৰ্ম্মচারী মোক্তারের বিরুদ্ধাচারী হইলেও, এবং মোক্তার শরণাপন্ন হওয়া দূরের কথা, তাহাকে নানা প্রকার কটু কথা বলিলেও, দয়াময়ী মহারাণী শরৎসুন্দরী, সকল বাধা বিপত্তির মধ্যে একাকী মোক্তারকে রক্ষা করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। র্তাহার সেই দৃঢ় অধ্যবসায় দেখিয়া মোক্তারের বিরুদ্ধাচারী, কৰ্ম্মচারীগণও অগত্য বৈরনির্য্যাতনে ক্ষান্ত হইল। মহারাণী, সে মোকদ্দমায় তদ্বির না করিয়া দোষী মোক্তারকেও বিপন্মুক্ত করিয়াছিলেন। সনাতন আর্য্যধৰ্ম্মে তাহার প্রগাঢ় বিশ্বাস ছিল। তিনি ক্ষুত্রদপি ক্ষুদ্র কার্য্যও অকামধৰ্ম্মে অনুপ্রাণিত হইয়। নিৰ্ব্বাহ করিতেন। অথচ সকল কার্য্যের প্রারম্ভেই লক্ষ্য স্থির করিয়া শেষ পর্য্যন্ত অতি ধৈর্য্য এবং অধ্যবসায়ের সহিত বৈধাচারে সম্পন্ন করিতেন । এই মহৎ গুণ, র্তাহার বাল্যজীবনেই দেখা যাইত। র্তাহার সকল কার্য্যেই সুব্যবস্থা ও প্রকারাভিজ্ঞতার পরিচয় ছিল । এবং ক্ষুদ্র কার্য্যকেও অবহেলা না করিয়া ক্ষুদ্র, বৃহৎ সকল কাৰ্য্যেই তুল্যরূপে যত্নশীল। ছিলেন । তৎকাল প্রচলিত মহিলাসুলভ শিল্পে ও র্তাহীর বিশেষ