মংরাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। بيلا نة ছিলেন ; তাহাতেই তাহার হস্তাক্ষর ছাপার মত পরিষ্কার এবং সুদৃশু ছইয়াছিল । তিনি অতিদ্রুত কিম্বা অতি বিলম্বে লিখিতেন মা। অথব। চিরন্তন পদ্ধতির প্রতিকূলে আপনার মিতান্ত আত্মীয়া স্ত্রীলোকদিগকে পর্য্যন্ত স্বহস্তে পত্র লিখিতেন না । অথচ পুস্তক বিশেষ হইতে ধৰ্ম্মবিষয়ক কবিতা সকল সংগ্ৰহ করিয়া স্বহস্তে লিখিতেন । র্তাহার প্রকাণ্ড পুস্তকাগারে স্বহস্তলিখিত একখানি কবিতা পুস্তক অদ্যাপি রক্ষিত আছে। তদ্ভিন্ন সংস্কৃতেও তাহার সামান্য বুৎপত্তি ছিল না। তিনি আপনি, ভোগমুখ বর্জিত। চিরদুঃখিনী হইলেও তাহার বিনীত স্মিতপুৰ্ব্ব নম্রভাষায়, ঘোর পাপাত্মাও মন্ত্রমুগ্ধবৎ বশাল্লুবর্তী হইত— পুত্ৰশোকবিধুরাও শান্তিলাভ করিত। 膏 এক বাড়ীতে তিনজন স্ত্রীলোক একত্র থাকিলে গৃহস্থ জালাতনের একশেষ হইয়া থাকেন, কিন্তু, তিনি নানা চরিত্রা শত শত স্ত্রীলোক লইয়া, তাহাদের নানা যাতনা সহিয়াও অমানচিত্তে বাস করিতেন । তিনি দরিদ্র বয়ঃ কনিষ্ঠাকেও সম্মান স্থচক কথায় সম্বোধন করিতেন । অতি হীনজাতীয় লোককেও নামগ্রহণে ডাকিতেন না। পুরুষমাত্রকে পিতা অথবা পুত্র এবং স্ত্রীমাত্রকে মাতা অথবা কন্যা সম্বোধনে ডাকিতেন । র্তাহার দেহে কাম, ক্রোধ, লোভ, মদ, মাৎসর্য্য, এই পাচটা রিপুর প্রভাব এককালে ছিল না । তবে দরিদ্রের দুঃখে মুগ্ধ হইতেন ভিন্ন প্রকৃতপক্ষে মোহেরও প্রাবল্য ছিল না । তিনি কি নীচ, কি ভদ্র, সকলের সহিতই নিৰ্ব্বিশেষ ব্যবহারে সমানরূপে আপ্যায়িত করিতেন । র্তাহার নিকট যে, শত শত সনাথ অনাথ বাস করিত, সৰ্ব্বদার নিমিত্ত তাহাদের তত্ত্বাবধান করিতেন ! তাহার মধ্যে কাহারও পীড়া হইলে জননীর ন্যায় স্বহস্তে সেবা শুশ্রীষা করিতেন । তিনি কাহাকেও কোনও দিবস ধৰ্ম্মবিষয়ে উপদেশ করিতেন না,