পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২০ #হারণী শরৎস্বন্দরীর জীবন-চরিত। মহারাণী কাশীধামে অবস্থানকালে একটা হীনজাতীয় অন্ধ, তাহার নিকটে প্রকাশ করে যে, সে দেবাদিদেব বৈদ্যনাথধামে হত্যা দিয়া মহারাণীর চরণামৃত পানে ব্যাধিমুক্তির আদেশ প্রাপ্ত হইয়াছে। কিন্তু মহারাণী আপনার পদধেীত জল কোনও মতেই দিতে সন্মতা লইলেন ন। অবশেষে দাসীদিগের নিকটে অন্ধ মিনতি পূৰ্ব্বক প্রার্থনা করিলে তাহারা গোপনে মহারাণীর স্নানাভিষিক্ত কিছু জল লইয়া দিয়াছিল। এবং তাহাতেই সে কৃতার্থ হইয়া যায়। মহারাণী, আপনি গৰ্ব্বিত না হইলেও, পুঠিয়া রাজবংশের সম্মানের প্রতি লক্ষ করিয়া সকল কাৰ্য্য করিতেন। পলস নিবাসী মুকুন্দনাথ ভট্টাচাৰ্য্য * অসহ শূলবেদনায় সৰ্ব্বদাই কাতর থাকিতেন, একদিন স্বপ্নে দেখিলেন য়ে, মহারাণী শরৎসুন্দরীর নিকটে ভিক্ষা করিয়া ভিক্ষালব্ধ টাকায় নাটোরের তিন ক্রোশ দূরবর্তী পবিত্রসলিলা আত্ৰেয়ী নদীর তীরস্থ বাক্সরের কালীমাতার অর্চনা করিলে রোগ মুক্ত হইবেন। ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় নিষ্ঠাবান আৰ্য্যধৰ্ম্মাবলম্বী এবং সুপণ্ডিত । তিনি বহুপথ অতিবাহিত করিয়া পুঠিয়ায় মহারাণীর নিকট উপস্থিত হইয়। সমস্ত অবস্থা নিবেদন করিলেন । মহারাণী, এই বিষয়ে কৰ্ম্মচারীদিগের অভিমত জিজ্ঞাসা করিলে কেহ পাচ টাকা, কেহ বা উদারতা দেখাইয়া দশটাকা পৰ্য্যন্ত দিবার অভিমত ব্যক্ত করিলেন । তাহাতে মহারাণী কহিলেন যে ‘ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের এরূপ এক এক শিষ্য আছেন যে, এক জনেই এই কার্য্যে দশ সহস্র টাকা সাহায্য করিতে পারেন। তদ্ভিন্ন তিনিও একজন সম্পত্তিশালী ব্যক্তি। তিনি কোনও দিবসই এখানে ভিক্ষা করিতে আইসেন নাই, কিম্বা তাহার ভিক্ষা করা ব্যবসায়ও নহে। অতএব অদ্য র্তাহাকে এক টাকা দিলেও তিনি ব্যাধি

  • ইনি গুরুব্যবসায়ী ও সঙ্গতিপন্ন ব্যক্তি। অনেক বড়লোক ইহাদিগের শিষ্য।