পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিতঁ । ১২১ মুক্তির আশায় তাহাই গ্রহণ করিয়া কৃতাৰ্থ বোধ করিলেও, পুঠিয়া রাজধানীর সন্মানের প্রতি আমাদের সকলেরই দৃষ্টি করিতে হয়। অতএব আমি পাঁচ শত টাকার নুনে এই ব্যক্তির ভিক্ষা, কল্পনা করিতেও লজ্জিত হইতেছি।” এই কথায় কৰ্ম্মচারীদিগের জ্ঞানোদয় হইল ; র্তাহারাও শেষে পাঁচ শত টাকা দানেই সন্মত হইলেন। ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় সম্পূর্ণ টাকায় বিশেষ সমারোহে বাক্সরে পূজা দিয়া চরিতার্থ হইয়াছিলেন। মহারাণী, প্রকৃত বিশ্বাস-পাত্রকেই বিশ্বাস করিতেন, অথচ তাহার কাৰ্য্যপ্রণালীর সুব্যবস্থায় অন্যে তাহ বুঝিতে পারিত না । বরং তাহার কৰ্ম্মে সংস্থষ্ট ব্যক্তিমাত্রেই মনে মনে জানিত যে, তিনি সকলকেই তুল্যরূপে বিশ্বাস করিয়া থাকেন। বিশ্বাসপাত্ৰ নিৰ্ব্বাচনেও প্রায় তিনি অনুতপ্ত কিম্বা লক্ষ্যভ্রষ্ট হইতেন না। তিনি পরচিত্তপরিজ্ঞান-কুশল। ছিলেন বলিয়। অন্তঃপুরে থাকিয়া বিস্তৃত রাজত্ব সুন্দর রূপে শাসন করিতে পারিয়াছেন । - সম্পত্তি শাসনকার্য্যে র্তাহার উচ্চবেতনের কৰ্ম্মচারীসকল থাকিলেও নিম্নশ্রেণীর বিশ্বস্ত কৰ্ম্মচারীদিগকে মন্ত্রণাসমিতিতে গ্রহণ করিতেন । এরূপস্থলে তাহাকে কেহই কোনও বিষয়ে অযথা আত্মামুবভাঁতায় লইতে পারে নাই। পাচ সাত জন একত্র পরামর্শ করিয়া বাদামুবাদে তিনি যে পক্ষকে সমর্থন করিতেন, সেই পক্ষের মতানুসারেই কাৰ্য্য হইত। র্তাহার প্রচলিত সুনিয়মে প্রধান কৰ্ম্মচারীগণ র্তাহার নির্দিষ্ট বিশ্বস্ত নিয়শ্রেণীর কৰ্ম্মচারীর অগোচরে স্বাধীনভাবে কোন কাৰ্য্য করিতে পারিতেন না । কোনও গুরুতর বিষয়ে কাৰ্য্যকারকদিগের বিশেষ মতবৈষম্য ঘটিলে, রাজসাহী কিম্ব কলিকাতা হাইকোর্টের উকিলদিগের মত লইয়৷ সেই কাৰ্য্য সম্পাদন করিতেন।