পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२२ মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। । fy তাহার রাজত্ব-সংক্রান্ত কাৰ্য্য হইতে ধৰ্ম্ম পুণ্য বিষয়ক যাবদীয় কাৰ্য্য, আড়ম্বরশূন্ত, সকলের শাস্তিপ্রদ, এবং সন্তোষজনক ছিল। এক জন গুরুতর অপরাধ করিলেও, যে কিছু অসন্তোষ প্রকাশ করিতেন, তাহাতেই দোষীর গুরুতর শাসন হইত। কেন না সকলেই তাহার কথাকে দৈববাণীরূপে, এবং তাহার অসন্তোষ সৰ্ব্বনাশকর বলিয়া গাঢ় বিশ্বাস করিত। তিনি মনে মনে রুষ্ট হইয়াছেন, দোষী ব্যক্তি ইহা বুঝিলেই সে মৃত্যুবৎ যাতন অনুভব করিত। র্তাহার স্নেহচ্যুত হইতে অতি নরাধমেরও প্রবৃত্তি হইত না । কখন, কৰ্ম্মচারীগণ, কোনও অপরাধীকে অর্থদণ্ড কি অপমানিত করিতেছেন, মহারাণী এরূপ কথা শুনিলে তাহার আহার নিত্রী রহিত হইত। একবার কোন প্রজাকে গো-হত্য অপরাধে, প্রধান কৰ্ম্মচারী এক শত টাকা অর্থদণ্ডের আদেশে আবদ্ধ রাখিয়া স্বানাহার জন্য স্ব-গৃহে গিয়াছিলেন। বেলা দুই প্রহরের পর, মহারাণী শুনিতে পাইলেন যে, সেই অপরাধী ব্যক্তি অনাহারে কষ্ট পাইতেছে। অথচ এই মধ্যাহ্ন কালে প্রধান কৰ্ম্মচারীর বিশ্রামকালে র্তাস্থাকে আহবান করিয়া ত্যক্ত করাও বৈধ নহে, কিম্বা তাহাকে না জিজ্ঞাসা করিয়া দণ্ডাজ্ঞার রূপান্তর দ্বারা প্রধান কৰ্ম্মচারীকে অপমানিত করাও কৰ্ত্তব্য নহে । সুতরাং নিরূপায়ে প্রজার দুঃখে তিনি শোকাকুলা হইয়া স্বয়ং স্নানাহার না করিয়া রোদন করিতে লাগিলেন। দিবা চারি ঘটিকার সময় প্রধান কৰ্ম্মচারী সেই বিষয় শ্রবণমাত্র, সত্বরে দরবার গৃহে আসিয়া মহারাণীকে আগমনসংবাদ জ্ঞাপন করিলেন । তখন মায়াময়ী শরৎসুন্দরী, দরবার গৃহে আসিয়া প্রজার অপরাধের বিষয় প্রধান কৰ্ম্মচারীর নিকট শুনিয়া কহিলেন যে,—“যদি সে প্রকৃতই অপরাধী হয়, তৰে বারাস্তরে এরূপ না করিবার নিমিত্ত শাসন করিয়া দিলেই হইতে