পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৪ মারাদ শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত ' f দিয়াছে। কিন্তু, তিনি তজ্জন্ত একটা কথাও বলেন নাই। তিনি যেন, ঈশ্বরের হস্তস্থিত কলের পুত্তলিকার মত সংসারে আসিয়া খেল। করিয়া গিয়াছেন, যেন তাহার দেহে মানব সুলভ রক্ত মাংস ছিল না, সুতরাং রাগ দ্বেষাদি রিপুতে তাহাকে অনুমাত্রও আক্রমণ করিতে পারে নাই। - মহারাণী সকলের অনুরোধে আপনার আন্তরিক ইচ্ছার বিরুদ্ধেও রাজপুরুষদিগের সন্তোষের জন্ত বিস্তর টাকা দান করিতেন । আর প্রতারণা করিয়াও অনেক দুষ্ট লোকে তাহার নিকট দরিদ্রত জানাইয়ু অর্থ লাভ না করিয়াছে এরূপ নহে। কিন্তু, ঐ সকল বিষয় প্রকাশ হইলেও তিনি ক্ষুব্ধ হইতেন না ; কৰ্ম্মচারীগণ বিশেষ চেষ্টা করিয়া ঐরূপ দৃষ্টান্তসকল উপস্থিত করিলে, মহারাণী বলিতেন যে, দানে এইরূপ সন্দেহ করিলে সম্ভবতঃ প্রকৃত দরিদ্রও বঞ্চিত হইতে পারে। কেহ প্রতারণা করিয়া আমার সর্বস্ব লইতে পারে নাই, অতএব দশ জন প্রতারকে আমার নিকট কিছু লইবে বলিয়া দুঃখী সাধারণের জন্ত কঠিন নিয়ম করিলে তাহাদের প্রতি ঘোরতর অত্যাচার হইবে । জগদীশ্বর আমাকে মাহ করাইতেছেন, আমি তাহাই করিতেছি । তাহার নিয়োগ ব্যতীত আমার নিজের কোন ক্ষমতা নাই, সুতরাং আমি দশ জন প্রতারকের বঞ্চনায় দুঃথ বোধ করি না ’ । el মহারাণী শরৎসুন্দরী, এইরূপে অষ্টাদশ বৎসর রাজকাৰ্য্য করিয়া কাশীবাস নিমিত্ত স্থিরসঙ্কল্প করিলেন। শরীরের প্রতি দারুণ তাচ্ছিল্য ব্যবহারে এবং ব্রত উপবাসাদির কঠোর নিয়মে অৰ্শ, অম্লপিত্ত, উদরাময় এবং পুরাতন জরে তিনি ক্রমেই রুগ্না হইলেন। একজন স্থবিজ্ঞ আয়ুৰ্ব্বেদ মতের চিকিৎসক তাহার বেতনভোগী ছিলেন। কিন্তু চিকিৎসক থাকিয়াও লাভ ছিল না। চিকিৎসক, ঔষধাদি নিয়ম