পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ১১ } Q জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন । পাঠকগণ, সমস্ত বৃত্তান্ত পাঠ করিলেই, তাহ। বুঝিতে পরিবেন। যোগেন্দ্রনারায়ণ যদিও অল্পবয়সে,—অতৃপ্ত-জীবনে ইহলোক ত্যাগ করিয়াছেন, তথাপি র্তাহার প্রকৃতির ছায়া, যাহা, এই পুস্তকে সংগৃহীত হইয়াছে তাহাতেই বুঝা যাইবে যে, শরৎসুন্দরী, অতি যোগ্য পতি লাভ করিয়াছিলেন । ബ - এখন লেখক লইয়া সমস্ত। জীবন চরিত, বহু প্রকারে লিখিত হইলেও সচরাচর দুই প্রণালীর সঙ্কলন পদ্ধতিই প্রধান। প্রথম প্রণালীতে, কেবল নায়কের জন্ম হইতে মৃত্যু পৰ্য্যন্ত, ঘটনাসকল পৰ্য্যায় ক্রমে লিখিত হয়। পাঠকের। তাহ পাঠ করিয়া, সার সঙ্কলন করিয়া লইতে পারেন। আর, নায়কের কার্য্য পরম্পরার সঙ্গে সঙ্গে, হৃদয়ের গৃঢ়তম ভাব প্রস্ফুটন করা, অন্ত শ্রেণীর চরিত লেখকের রীতি। ইহাতে লেখকের উদে মহৎ হইলেও, কবিত্বে কিছু না কিছু কল্পনার ছায়। পড়িতে পারে। সুতরাং প্রকৃত চরিত্র বুঝিতে, পাঠকের ভ্রান্তি জন্ম। অসম্ভব নহে। উপস্থিত লেখকের সে রূপ বিদ্যা বুদ্ধির অভাব ; তাহার পক্ষে দুই প্রণালীই দুঃসাধ্য। তবে, তাহার ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে, যতদূর সম্ভব, প্রস্তাবিত দ্বিবিধ উপায়ের মধ্যবৰ্ত্তীতায় লিখিতে প্রয়াশ পাইয়াছে। কতদূর কৃতকাৰ্য্য হইয়াছে, তাহ পাঠকেরা বিচার করিবেন। এস্থলে, পাঠকগণের সম্বন্ধে কিছু না বলিয়া,উপসংহার করিতে পারিতেছি না। ভরসা করি পাঠকেরা লেখকের এই ধৃষ্টতা ক্ষমা করিবেন। পাঠকদিগের মধ্যে সম্ভবতঃ তিন শ্রেণীর লোক আছেন। পল্লবগ্রাহী, কুসুমগ্রাহী এবং ফলগ্রাহী। পল্লবগ্রাহী পাঠক, চরিতরূপ বুজের পাতাগুলির সজ্জার ক্রটি দেখিলে, তাহার মূল পৰ্য্যন্ত তত্ত্ব করিবার ধৈর্য্যধারণে অশক্ত। ফলাস্বাদন তু বহু দূরের কথা ; সুতরাং পুস্তকের দুই চারি পৃষ্ঠা উণ্টাইয়া, লেখকের অস্তেষ্ট ক্রিয়া করিয়াই,