পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। 4৩৫ তেন, কোন দিন উপবাসী থাকিতেন। কিন্তু স্বাfদ্ধদিগের ইহাতেও তৃপ্তি নাই। একদিন মহারাণী, প্রস্তাবিত মতে কাৰ্য্য শেষ করিয়া দিবাবসানে অন্য একটা স্ত্রীলোকের আশ্রয়ে ধীরে ধীরে ভোজন-গৃহে যাইতেছেন, এই সময়ে, তাহার অর্থে প্রতিপালিত র্তাহার হিতৈষীরূপী একজন ভদ্রলোক, ভোজন-গৃহের দ্বারে দণ্ডায়মান হইয়। পথরোধ করিয়া রহিলেন। মহারাণী ভোজন-গৃহের নিকট উপস্থিত হইলে সেই স্বার্থন্ধি কহিল যে—“আমার জোতের পত্ৰখানি না দিলে আমি পথ ছাড়িয়া দিব না। আমি দিব। রাত্রি মধ্যে চেষ্টা করিয়াও তুাপনার অবকাশ পাই না, এখন অবকাশ পাইয়াছি” । দয়াময়ী শরৎসুন্দরী যে, নানা ব্যাধিতে যাদশাপন্না কাতরা, সমস্ত দিন নানা কার্য্যে কষ্ট পাইয়া ক্ষুধা পিপাসায় কাতরা, স্বার্থীন্ধ প্রার্থী, তাহা বুঝিয়াও বুঝিল না। কিন্তু, ক্ষমাশীলা, শরৎসুন্দরী কোন উত্তর না দিয়া তৎক্ষণাৎ ভোজন-গৃহের দ্বার হইতে ফিরিয়া দরবার গৃহে গমন করিলেন। এবং অবিলম্বে প্রার্থীর জোতের আদেশ পত্র লিখাইয়া স্বাক্ষর করিয়া দিলেন। তৎপরে দরবার গৃহ হইতে আসিবার কালে গৃহ দেবতা শ্ৰীশ্ৰীগোবিন্দ জিউর মন্দির অভিমুখী হইয়া গললগ্নীকৃতবাসে করুণ স্বরে প্রার্থনা করিলেন যে “গোবিন্দ ! দাসীর এই ভিক্ষা যে, আমাকে আর যেন পুঠিয়া আসিতে না হয়, আর যেন দুঃখীদিগের নিরাশার নিশ্বাসে আমার হৃদয় দগ্ধ না হয়।” ভগবান গোবিন্দ জিউ, যেন র্তাহার প্রার্থনা দিব্য কৰ্ণে শুনিয়া প্রার্থিত বরপ্রদান করিলেন । সেই দিন হইতে তিন সপ্তাহের মধ্যে পুণ্যশীল মহারাণী শরৎসুন্দরী, পুণ্য তীর্থ বারাণসীতে কলেবর ত্যাগ করিয়াছিলেন। । মহারাণী আপনার শরীর ক্রমশঃ ধ্বংস মুখে অগ্রসর হইতে দেখিয়। সম্পত্তি সম্বন্ধে গবর্ণমেণ্টের আদেশ আসিবার প্রতীক্ষা না করিয়া ১০ষ্ট