পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎমুন্দরীর জীবন-চরিত। 。ミ* বলপ্রকাশে প্রয়োজনের অধীন আনিতে হয়,অতএব তাহার ফলও সঙ্কীর্ণ হইয়া যায়। ইহার সহস্ৰ সহস্র উদাহরণ, সকলের সম্মুখেই আছে। বর্তমানকালের, অর্থকরী বিদ্যার্থী বালকেরা, অভিভাবকদিগকে, সৰ্ব্বদাই নূতন নূতন দৃষ্টান্ত দেখাইতেছে। যাহার যে বিদ্যায় প্রবৃত্তি নাই, সাধারণ শিক্ষা প্রণালীর নিয়মে, তাহাকে সেই বিদ্যাই গিলিতে হয় ; অবশেষে হৃদয়ের প্রতি ঘোর অত্যাচারে, অনেকেই ওজঃ, স্ফূৰ্ত্তি এবং উৎসাহ হারাইয়া, চিরজীবনের জন্ত অকৰ্ম্মণ্য झ्झेब्र যায়। অর্থলোভী অভিভাবকেরা, তাহা বুঝিয়াও বুঝেন না । বালকের মুলপ্রকৃতি, কোন কার্য্যের অনুগামিনী, তাহার তত্ত্ব লইতেও চেষ্টা করেন না। অল্পদিন পরে তাহদের সাধের পুত্ররত্ন, (ভবিষ্য জীবনে অনাবশুকীয় ) অঙ্ক, দর্শন, বিজ্ঞান, জ্যোতিষ, ইত্যাদি বিদ্যার বোঝা, পেটে লইয়া নানারোগে রুগ্ন ও ভগ্ন হৃদয়ে যখন বিদ্যালয় হইতে প্রত্যাগমন করে, তখন, বুঝা যায় যে, সে, যে সমস্ত বিদ্যার বোঝা আনিয়াছে, তাহার দুই একটা ব্যতীত, সমস্তই পণ্ডশ্রম । অনেকগুলিই, ভুলিয়া যাওয়া ভিন্ন, সংসারে সাধের অর্থ উপার্জন পথে, কিছুই সহায়তা করে না । এই সকল বালকের অভিভাবকেরা, অনেকে বলিয়া থাকেন যে, নানা বিষয়ে অধিকার হইলে মনুষ্যত্ব জন্মে –সংসারে অর্থার্জনমাত্র প্রয়োজনীয় হইলেও, বহুবিষয়ে অভিজ্ঞতা জন্মিলে, গন্তব্য পথ প্রশস্ত হয়, সকলের নিকট সম্মান লাভ করা যায়। কিন্তু র্তাহাদের কথা স্বীকার করিলেও, সকল ক্ষেত্রে সুফল দেখা যায় না । প্রাচীনকালে আর্য্যেরা, অনেকেই অদ্বিতীয় পণ্ডিত ছিলেন । র্তাহারা, প্রথমে বালকদিগকে ভাষা মাত্র শিক্ষা দিতেন । বালকেরা ভাষায় পারদর্শী হইলে, তাহার মূল প্রকৃতি, সংসারের কোন বিষয়ে অভিমুখী, তাহা বুঝিয়া স্মৃতি, দর্শন, জ্যোতিষ, পদার্থ বিদ্যা প্রভৃতির মধ্যে, যেটা বালকের মনোনীত হয়,