পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। ৩৯ র্তাহার রোদন শব্দে নিকটস্থ সকলে উপস্থিত হইয়া, এই অভাবনীয় ব্যাপার দেথিয়া অত্যন্ত বিস্ময়াপন্ন হইল। তাহাকে অনেকেই বলিল যে, তাহার যে, জীবুন রক্ষা হইয়াছে তাহাই যথেষ্ট ; কাপড়ের জন্ত র্তাহার পিতা অনুমাত্রও ক্ষুব্ধ হইবেন না। তখন চারি বৎসরের বালিকা, রোরুদ্য বদনে গদগদ বচনে কহিলেন যে,—“বাব। ত আর সকালে কলিকাতা যাইবেন না, আর এমন কাপড়ও আনিতে পারিবেন না ; কাবেই তাহার সাধের কাপড় পুড়িয়াছে বলিয়া আমার প্রতি রাগ করিবেন।” এই সময় ভৈরবনাথ স্বয়ং আসিয়া বালিকাকে নান প্রকার সাত্বন করিলে পর, তাহার রোদন নিবৃত্তি হয় । हिडीझ পরিচ্ছেদ । .বিবাহ,—পুঠিয়া রাজবংশ, রাজা যোগেন্দ্রনারায়ণ, শরৎস্থদেরীর গৃহিণীত্ব, বিদ্যাশিক্ষা এবং চরিত্রের পূর্ণবিকাশ । ভৈরব নাথ, এইরূপ গুণবতী বালিকার বিদ্যা শিক্ষার জন্য, কোনও চেষ্টা করিতে পারেন নাই । কেননা, সে সময়ে রাজসাহী প্রদেশে বালিকরে বিদ্যা শিক্ষার রীতি প্রচলিত ছিল না । কিন্তু, বালিকার প্রস্ত:বিত গুণ সকল দেখিয়া তাহার ভবিষ্যৎ সুখের জন্য, ভৈরবনাথ বড়ই বু্যাকুল হইলেন। প্রথমে ভাবিলেন, শরৎসুন্দরীকে কোনও সুপাত্রে দিয়া তাহার সমস্ত সম্পত্তি গুণবতী কন্যাকে প্রদান করিবেন। কিন্তু, সে সময়ে তাহার অন্য সস্তান জন্মিবার সস্তাবনা ছিল । সুতরাং সে