পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত । করিতেন । কিন্তু, পরে সে সমুদয় দ্রব্য আর র্তাহার ব্যবহারে আলিত ন। বালিকা, এই বয়সে কোন অলক্ষিত কারণে, বেশবিদ্যাসপারিপাট্য কিম্ব আহার বিহারাদিতে, স্পৃহাহীন হইয়াছিলেন। শরৎসুন্দরী বৃথা আমোদে এক মুহূৰ্ত্তের জন্তও লিপ্ত হইতেননা। এই সময়ে,তাহার শরীরে দয়া, মায়া,সদাচার, ক্ষমা এবং পরদুঃখকাতরতাদি গুণ, স্পষ্ট দেখা যাইত। তিনি তত বিখ্যাত সুন্দরী ছিলেন না ; অথচ, তাহার শাস্তিময় মুখচ্ছবিতে প্রস্তাবিত গুণসমূহের মিশ্র লাবণ্য যেরূপ ছিল,—অন্যে সেই সকল গুণের পক্ষপাতিতায় তাহার প্রতি যেরূপ আকৃষ্ট হইত, এরূপ, অন্ত পরমাসুন্দরী ললনাসম্বন্ধেও অল্পই দেখা যায়। র্তাহার অতি সংক্ষিপ্ত, সরল, বিনীত ভাষায় সকলেই বশীভূত হইয়াছিল। কিন্তু, সকলের ভাগ্যে সেই আনন্দ অনুভব করিবার সুবিধা হইত না। র্তাহার নিকটে যে নির্দিষ্ট সংখ্যক লোকে যাইতে পারিত, তাহাদের সকলের সহিত বন্ধুরূপ। শরৎসুন্দরী, কথা কহিতেন না । কিন্তু তাহ বলিয়া, তাহার গুণ অপ্রকাশ রহিল না । শরৎসুন্দরী র্তাহার সুশীল মাতার চরিত্র লাভ করিয়া, অভিভাবিক। বিধবা ঠাকুরাণীর ছন্দোনুবৰ্ত্তিতায়, পতির সংসারে একমাত্র গৃহিণী হইয়া, নানা প্রকার কার্য্যে স্বশিক্ষিত হইয়াছিলেন। তাহার মাতার চরিত্রের বিষয় সংক্ষেপে পূৰ্ব্বেই বর্ণিত হইয়াছে। তথাপি তাহার পূর্ণ চিত্র এস্থানে দিলে, শরৎসুন্দরীর স্বভাব বুঝিবার অনেক সুবিধা হইতে পারে বলিয়া, পুনরুল্লেখ করা যাইতেছে। সংসারে স্ত্রী, পুরুষ, উভয় শ্রেণীর মধ্যেই দেখা যায় যে, এক শ্রেণী সচ্চরিত্র অথচ প্রতিভাশালী, এবং প্রভুত্বপ্রিয়। তিনি, আপনি যে যে গুণের পক্ষপাতী, অল্পকে উপদেশ দিয়া, সেই গুণে সংগঠিত করিতে প্রয়াস পাইয়া থাকেন। আর অন্য শ্রেণীর লোকের সদাচার ও