পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত । e 49 স্বধৰ্ম্ম রক্ষায় প্রতিভা থাকিলেও, প্রভূত্বপ্রিয়তা থাকে না । তাহাদের চরিত্ৰ নিৰ্ম্মল, তথাপি, চিরজীবন স্বাবলম্বনে প্রবৃত্তি হয় না ; সৰ্ব্বদাই অন্যের অধীনতায় থাকিতে ভাল বাসেন, অতএব অপরিণত বয়স্ক বালক বালিকারাও, তাহাদিগের উপর প্রভূত্ব করিবার অবসর পায়। শরৎস্বন্দরীর গর্ভধারিণী দ্রবময়ী * প্রস্তাবিত শেষ জাতীয়া ছিলেন । তাহার হৃদয়ে প্রগাঢ় মহত্ব থাকিলেও এককালে, আড়ম্বর শূন্ত ছিলেন । র্তাহার কথাবাৰ্ত্ত এবং সাংসারিক কার্য্যের সীমা'অতি সঙ্কীর্ণ ছিল । তিনি, পরিণতবয়স্ক হইয়াও, বধূস্বভাবাপন্না । কোনও কার্য্যেই কর্তৃত্ব কিম্বা অতি তুচ্ছ কাৰ্য্যও অন্যকে জিজ্ঞাসা না করিয়া করিতেন না। মাননীয় ব্যক্তির ছন্দোনুবৰ্ত্তী হইয়া যতদুর সাধ্য, সৰ্ব্বদাই দাসীর ন্যায় কাৰ্য্যলিপ্ত থাকিতেন। একজন বালিকাকেও তিনি ভয় করিতেন ; অপরিচিত দ্বাদশ বৎসরের বালকের নিকটে ও তিনি অবগুণ্ঠনাবৃত হইতেন। কেহ হঠাৎ একট। অপচয় করিয়া, নিরপরাধ অবগুণ্ঠনবতী দ্রবময়ীর উপর দোষ নিক্ষেপ করিয়৷ আত্মশুদ্ধি করিলেও, তিনি প্রতিবাদ করিতেন না। অন্যে র্তাহার ঘোরতর অপকার করিলেও, অম্লান হৃদয়ে ক্ষমা করিতেন । প্রকৃত দোষী মনে কষ্ট পাইবে বলিয়া, বরং তিনি আপনার অপকার ভূটিয়া, দোষীকেই আবার মিষ্ট কথায় সাস্তুনা করিতেন । সামান্ত নৃশংসতা কি নিষ্ঠুরতা দেখিলেই, তিনি ভয়ে মূচ্ছিতা হইতেন। পরের দুঃখ দেখিলে, কারুণ্যে র্তাহার হৃদয় বিগলিত হুইত, অথচ প্ৰগলভতার ভয়ে, পতি ব্যতীত অন্যের নিকট কোনও বিষয় অনুরোধ করিতে সাহস করিতেন না। র্তাহার কোনও কার্য্যেই, অপ্রতিষ্ঠত বাসনার পরিচয়

  • ই হার পিতার নাম নবকান্ত ভাদুড়ী রাজসাহী জেলার অধীন হাটর গ্রামে তাহার নিবাস ।