পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎস্বন্দরীর জীবন-চরিত। ఆ& স্বাধীনতা নাই যে, তিনি স্বেচ্ছা প্রবৃত্তে তাহার কোন প্রতিবিধান করিতে পারেন। অতএব তৎকালে কেবল নীরবে অশ্রু বিসর্জন করিয়া মনোদুঃখ মনেই দমন করিয়া রাখিলেন। অল্প দিন মধ্যে বোয়ালিয়া নগরেই যোগেন্দ্রনারায়ণের আয়ুঃশেষ হইল। যোগেন্দ্র নারায়ণ জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্য্যস্ত যে কিরূপ স্বাধীনচেতা কর্তব্য পরায়ণ ব্যক্তি ছিলেন, তাহার একটা দৃষ্টান্ত দিয়াই এ অধ্যায় শেষ করা যাইতেছে।. C বোয়ালিয়ায় একদিন তাহায় একটী বাল্যসখা, তাহাকে দেখিতে গিয়াছিলেন, যোগেন্দ্রনারায়ণ সে সময়ে জর, প্লীহা, যকৃৎ, অরুচি, এবং অজীর্ণ প্রভৃতি নানা পীড়ায় আক্রান্ত । র্তাহার স্ববশে উঠিবার শক্তি ছিল না। তিনি জীবনে এককালে হতাশ হইয়া মৃত্যুশয্যাশায়ী হইয়াছিলেন । বাল্যসুহৃদকে দেখিয়া যোগেন্দ্রনারায়ণ মৃদুস্বরে কাতরভাবে তাহার নিকট এ জন্মের শোধ বিদায় চাহিলেও, তাহার বন্ধু প্রথমে কোন উত্তর দিতে না পারিয়া অনর্গল অশ্রমোচন করিতে লাগিলেন। বন্ধুর বিশ্বাস যে, এখনও নীলকরের সহিত সন্ধি হইলে রাজার মানসিক ক্লেশ নিবারণ হইয়া দারুণ রোগ হইত্বে মুক্তিলাভ করিতে পারেন। সেই জন্ত তিনি অত্যন্ত সস্তপ্ত হৃদয়ে কঁদিতে কঁদিতে কহিলেন— "নীলকরদিগের সঙ্গে এখনও সন্ধি করিলে তোমার দুশ্চিস্তা লাঘব হইতে পারে। মানসিক চিন্তাই এই ব্যাধির মূল । সেই চিগুণ দমন হইলে অল্প দিনেই শরীরও আরোগ্য হইতে পারে। ভাই ! সংসারে প্রাণ অপেক্ষ প্রিয়তম কিছুই নহে!” * যোগেন্দ্রনারায়ণ তখন একখানি মোটা কাপড়ে সৰ্ব্বাঙ্গ আবুত করিয়া শয়ান ছিলেন । বন্ধুর মুখে উল্লিখিত শব্দ কয়েকট নির্গত