পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* g মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। ছিল না ; কিন্তু, তাহার পিতা, অন্তান্ত পুরাতন কৰ্ম্মচারিগণ এবং প্রজাবৰ্গ, সম্পত্তি আপনার হস্তে লইবার জন্ত শরৎসুন্দরীকে সৰ্ব্বদাই ত্যক্ত আরম্ভ করিলেন । ফলতঃ বিধবা হইবার পর সকলকে পরিতোষ পূৰ্ব্বক আহার প্রদান, এবং দীন দুঃখীকে দান করা র্তাহার একট প্রধান কৰ্ত্তব্য কাৰ্য্য হইয়াছিল । তাহাদের পারিবারিক পদ্ধতি অনুসারে তাহার যে কিছু যায়গীর নামক যৌতুকের সম্পত্তি ছিল, তদ্বারা ঐ সকল কাৰ্য্য আশানুরূপ হইতে পারে না যলিয়া, ক্রমে ক্রমে, সম্পত্তির ভার গ্রহণ জন্য র্তাহারও ইচ্ছা হইল। তিনি, এই বয়সে কিরূপ বুদ্ধিমতী এবং সম্পত্তির ভার গ্রহণ করিলে কাৰ্য্যকুশল৷ হইবেন কিনা, ইহাই দেখাইবার জন্য তৎকালের রাজসাহীর কালেক্টর মিঃ ওয়েলস সাহেবের পত্নীর সহিত সাক্ষাৎ করিবার নিমিত্ত সকলেরই অভিমত হইল, কিন্তু শরৎসুন্দরী, বিধবা হইয়া কিরূপে স্লেচ্ছ রমণীর অভ্যর্থনা করিবেন, এই বিবেচনায় তিনি প্রথমে সাক্ষাৎ করিতে অসম্মত হইলেন। সাহেব পত্নী, সে সময়ে পুঠিয়াতে গিয়াছিলেন, ভৈরবনাথ তাহার নিকট গিয়া, করমর্দনাদি কোনও রূপ স্পর্শকাৰ্য্য যে শরৎস্বদের করিতে পরিবেন না, সে কথা বুঝাইয়া বলিলেন । ওয়েলস সাহেবের পত্নী, বড়ই সুশীল। মহিলা ছিলেন, তিনি সমস্ত বিষয়েই সন্মত হইলেন। অবশেষে শরৎসুন্দরী সেই সকল কথা শুনিয়া, পিতা ও অন্যান্ত আত্মীয়ের অনুরোধে অনিচ্ছাতেও সাহেব মহিলার সহিত সাক্ষাৎ করিতে স্বীকৃত হইলেন। নির্দিষ্ট দিনে পুঠিয়া রাজ অন্তঃপুরে সাহেব মহিলা যাইয়। শরৎসুন্দরীর সহিত সাক্ষাৎ করিলেন। তিনি, এই অল্প বয়সে শরৎস্বন্দরীর মুণ্ডিত মস্তক, মোটা এক বস্ত্র পরিধান ও রুক্ষ্ম কেশ দেখিয়া মনে মনে ৰড়ই কষ্ট পাইয়া কথায় কথায় বলিলেন,—“রাণি ! আমাদের দেশে