পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

39 মহারাণী শরৎকুন্দরীর জীবন-চরিত। করিতে বিশেষ অনুরোধ করিলে, শরৎসুন্দরী, তাহ পালন না করিয়া থাকিতে পারিতেন না। তাহাতেই বুদ্ধিমতি শরৎমুনী সহজে উপবাসাদি ক্লেশ পাইবার জন্ত এক কৌশল অবলম্বন করিলেন। বিধবার কৰ্ত্তব্য, একাদশী, শ্রবণাদ্বাদশী, জন্মাষ্টমী, আশ্বিন ও চৈত্র মাসের মহাষ্ট্রমী, রামনবমী প্রভৃতি বিস্তর উপবাস করিয়াও র্তাহার যৌবনের লাবণ্য নষ্ট হয় না বলিয়া বড়ই ব্যাকুল হইয়াছিলেন। এখন, ব্রতমালা সংগ্ৰহ করিয়া তাহাতে আর্য্যধৰ্ম্মের কর্তব্য ঘতপ্রকার ব্রত আছে, একে একে শরৎসুন্দরী তাহা গ্রহণ করিলেন, এবং তাহার নিয়ম ও উপবাস যাহা ( যাহাতে অন্যান্ত অনেক ধনী হিন্দু মহিলা, পুরোহিত প্রতিনিধি দিয়া স্বয়ং সুখে ভোজন করিয়া থাকেন ) কৰ্ত্তব্য তাহা স্বয়ং করিতে আরম্ভ করিলেন। তদ্ভিন্ন ব্ৰতাদির মিষ্টান্ন সামগ্ৰী আদি স্বহস্তে প্রস্তুত করিতে লাগিলেন । ভৈরব নাথ পুনঃ পুন: চেষ্টায় যখন দেখিলেন, যে র্তাহার কন্যা সামান্ত। মানবী নহেন, তখন, আর কোনও প্রকার সুখাভিলাষের জন্ত কন্যাকে উত্ত্যক্ত করিতেন না। ইহার মধ্যে আর একটা ঘটনা হইয়াছিল, তাহাও এই স্থানে উল্লেখ যোগ্য। “ বিধবা হইবার অল্পদিন পরে শরৎসুন্দরী লগ্ন জরে অত্যন্ত কাতর হইয়াছিলেন। কফানুবন্ধ জরে স্বভাবতই পিপাসা কিছু অধিক হইয়া থাকে, তাহার পর আবার একাদশীর উপবাস উপস্থিত। একাদশীর দিন শরৎসুন্দরী পিপাসায় মুচ্ছাপন্ন হইলেন। ভৈরব নাথের প্রাণে সহ্য হইল না, তিনি, প্রথমে সমস্ত পাপ স্বয়ং গ্রহণ করিতে সম্মত হইয়া শরৎসুন্দরীকে জলপানের জন্ত নিৰ্ব্বন্ধাতিশয়ে অনুরোধ করিতে লাগিলেন, কিন্তু পিপাসার যাতনায় ওষ্ঠীগতপ্ৰাণ৷ শরংসুন্দরী কিছুতেই পিতার অনুরোধ শুনিলেন না। তখন ভৈরবনাথ বিবেচনা করিলেন যে ধৰ্ম্মমুগ্ধ বালিকা পণ্ডিতমণ্ডলীর প্রতি বড়ই