পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎকুন্দরীষ্ম জীবন-চরিত। * ११ ভক্তিমতী, অতএব তাহাদের দ্বার ব্যবস্থা সংগ্ৰহ করিতে পারিলে অবশ্যই জল পান করিতে পারেন। ভৈরবনাথ এইরূপ স্থির করিয়া তৎকালে পুঠিয়ায় উপস্থিত পণ্ডিতদিগকে একত্র করিয়া, একাদশীতে বিধবার জল পানের ব্যবস্থার প্রস্তাব করিলেন ; তাহাতে কেহ কেহ আপত্তি করিলেন, কেহ কেহ ব্যবস্থা দিলেন । কিন্তু শরৎসুন্দরী অত্যন্ত ঘূণার সহিত সেই ব্যবস্থা উপেক্ষা করিয়াছিলেন। • যাহা হউক, কন্যার তীর্থ যাত্রার প্রস্তাবে ভৈরবনাথ অনুমোদন করিলেন । ১২৭২ বঙ্গাব্দের বর্ষাগম সময়ে পিতাকে সঙ্গে লইয়। শরৎসুন্দরী গয়াধামে যাত্রা করিলেন। গয়াকৃত অন্তে কাশীতে গিয়৷ পদব্রজে পঞ্চক্রোশ পর্য্যটন, ও সমস্ত তীর্থে স্নান করিয়াছিলেন। পরে বারাণসী ধাম হইতে প্রয়াগ, মথুরা, বৃন্দাবন প্রভৃতি তীর্থ পৰ্য্যটন অস্তে পুনরায় বারাণসীতেই আসিয়াছিলেন। তিনি, বৃন্দাবনে পদব্রজে চতুরশীতি ক্রোশ পর্য্যটন করিয়াছিলেন ; যদি চলিতে অশক্ত হইয়। পড়েন, এই বিবেচনায় ভৈরবনাথ তাহার সঙ্গে সঙ্গে একখানি পাস্ত্রী রাখিয়াছিলেন ; কিন্তু অস্থৰ্য্যম্পশুরূপ। শরৎসুন্দরী, ভাত্রমাসের প্রখর মেঘান্ত রৌদ্রের মধ্যে গমন করিতে বিশেষ কষ্ট পাইলেও, এক মুহুর্ভের জন্ত ও পাল্পীতে আরোহণ করেন নাই । এক এক দিন তাহার স্বকোমল পদযুগলে কঙ্কর ও কণ্টক বিদ্ধ হইয়া যাতনায় সমস্ত রাত্রি নিদ্রা যাইতে পারেন নাই, কিন্তু, তথাপি তাহার হৃদয়ের দৃঢ়ত ভঙ্গ श्शे प्लांछ्लि न ।

  • যে যে পণ্ডিত জল পানের ব্যবস্থা দিয়াছিলেন । শরৎসুন্দরী মনে মনে .আজীবনকাল তাহাদিগকে ঘৃণা করিতেন । এই ব্যবস্থ উপলক্ষে রাজসাহী অঞ্চলে এক তুমুল আন্দোলন উপস্থিত হইয়াছিল । এমন কি কতকগুলি প্রবন্ধ, পুস্তক এবং নাটক পর্যান্ত প্রকাশিত হইয়াছিল । “কি ভয়ানক একাদশী’ নামে একখানি নাটক রাজসাহীর একটা মুদাযন্ত্রে প্রকাশিত হইবার বিষয়, লেখক অবগত আছে।