পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ar ෆ মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত কৰ্ম্মচারিদিগের পরামর্শ ব্যতীত, কোনও কৰ্ম্ম করিতেন না। তিনি, কোনও কার্য্যে একটা কিছু স্থির কল্পনা করিলেও কৰ্ম্মচারীর সঙ্গত আপত্তি করিলে, সঙ্কল্পভঙ্গ করিতেন। ফলতঃ র্তাহার দয়া, কিম্বা দানে যদি কেহ বাধা দিতেন, তবে অতি গোপনে যথাসাধ্য আপনার সঙ্কল্প সাধন করিতেন । র্তাহার আপনার জায়গীর সম্পত্তির আয় প্রথমে দশ হাজার টাকা পরিমাণ ছিল, পরে প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি হয় ; তদ্ভিন্ন পতির দত্ত মোসাহেরাদি সৰ্ব্বপ্রকারে তাহার নিজের বার্ষিক আয় ত্ৰিশ হাজার টাক। পরিমাণ ছিল । যে সকল দানাদিতে প্রধান কৰ্ম্মচারীরা বাধা দিতেন, কিম্বা তাহার সঙ্কল্পিতৃ পরিমাণ অপেক্ষায় অল্প দিবার পরামর্শ দিতেন, তিনি, দুই একবার মিষ্ট কথায় বুঝাইয়া যদি, র্তাহার মতে আনিতে না পারিতেন, তবে, গোপনে আপনার তহবিল হইতে সঙ্কল্প মত টাকা দিতেন । তথাপি, কৰ্ম্মচারিগণ মনে ব্যাথ পাইবেন বলিয়া আপনার মতকে প্রবল রাখিতেন না । পূৰ্ব্বে উল্লিখিত হইয়াছে যে, অষ্ঠের স্বাধীনতায় বাধা কিম্বা কাহারও মনে ব্যথা পাইতে পারে, কথায় কিম্বা কাৰ্য্যে সেরূপ ব্যবহার না করা, তাহার প্রকৃতিসদ্ভূত সুমহং মন্ত্র ছিল । কিন্তু পিতৃবিয়োগের অল্পদিন পরে মাতৃভক্তিতে বিগলিত হইয়া এক দিন মাত্র ক্ষণকালের জন্য প্রস্তাবিত মন্ত্র বিস্মৃত হইতেছিলেন। ফলত: অল্পক্ষণের মধ্যেই আপনার ভ্রম স্বীকার করিয়া মাতৃভক্তি-প্রবণ বলবতী ইচ্ছাকে নিবৃত্ত করিয়াছিলেন। ঘটনাটা এইরূপ যে, শরৎসুন্দরী পিতার অভাবের পর স্নেহময়ী মাতার জন্য সৰ্ব্বদাই চিন্তাযুক্ত। থাকিতেন । এক দিন তাহার মাতার সামান্ত কি একটা পীড়া হইয়াছিল বলিয়া, শরৎসুন্দরী র্তাহাকে দেখিতে পিতৃভবনে যাইতে বড়ই ব্যাকুল হইলেন। কিন্তু প্রাচীন কৰ্ম্মচারীদিগের অনুমতি ভিন্ন