পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। e\>> Ö বাইতে সাহস করিলেন না । তখন প্রাচীন কৰ্ম্মচারীদিগকে র্তাহার দরবার ঘরে ডাকিয়া পাঠাইলেন । তাহারা উপস্থিত হইলে চিকের অন্তরালে থাকিয়া দাসীর দ্বারা তাহার অভিপ্রায় ব্যক্ত করিলেন । প্রাত্যহিক কাৰ্য্যও এইরূপ উপায়ে দাসীর বাচনিকে হইত ভিন্ন, তিনি কৰ্ম্মচারীদিগের নিকট আপনার স্বর পর্যন্ত সংযত রাখিতেন। যাহা হউক, তাহার অভিপ্রায় শুনিয়া একজন বিশ্বস্ত কৰ্ম্মচারী কহিলেন যে, তাহার পিতৃভবনের অন্তঃপুরের প্রাচীর ভগ্ন হইয়াছে, বাহির হইতে অন্তঃপুরের প্রাঙ্গন দেখা যায়, সুতরাং ঐরূপ অনাবৃত স্থানে গমন করা সঙ্গত নহে । শরৎসুন্দরী তাহাতেও মনোবেগ দমন করিতে না পারিয়া কাকুক্তির সহিত মাতার সঙ্গে সাক্ষাতের অভিলাষ ব্যক্ত করিলেন । তাহাতে উক্ত কৰ্ম্মচারী কহিলেন যে, তাহার মাতা তেমন শয্যাগত কাতরা নহেন, অতএব নিতান্ত ইচ্ছা হইলে তাহার মাতাকেই পান্ধী যোগে আনাইতে পারেন । কিন্তু শরৎসুন্দরীর নিকট পীড়িত। মাতাকে পথকষ্ট দিয়া আনয়ন করা উচিত বলিয়া বোধ হইল না । অথচ মাতৃদর্শন পিপাসাও নিবৃত্তি হইতেছে না, অতএব তিনি, পিত্রলয়ে স্বয়ং যাইবার জন্য পুনরায় উৎকণ্ঠ প্রকাশ করিতে লাগিলেন । তখন সেই কাৰ্ম্মচারী কিছু ক্ষুব্ধ হইয়া কহিলেন যে—“রাজা যোগেন্দ্রনারায়ণের রাণী হইয়া আপনাকে সেই অনাবৃত বাড়ীতে যাইবার জন্য আমরা মত দিতে পারি না ; তবে, আপনি এখন কত্রী, যাহা অভিরুচি তাহা করিলে বাধা দিবার কেহই নাই। ফলতঃ আপনি মনে করিয়া দেখিবেন যে, রাজা যোগেন্দ্রনারায়ণ জীবিত থাকিলে আপনি .এতদূর স্বাধীনতা প্রকাশ করিতে পারিতেন কি ? অতএব যদিও আদ্যকার বিষয় অতিশয় ক্ষুদ্র এবং আপনি তথায় গমন করিলে অন্তঃপুর রক্ষার জন্ত প্রহরী নিযুক্তও করা যাইতে পারে, কিস্ত, অদ্য এই