পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত । 'OL হইয়াছিল । সংস্কৃত ভাষার প্রতি র্তাহার বিশেষ অনুরাগ ছিল। তিনি পণ্ডিত কিম্বা পুরোহিতের নিকট চিকের অন্তরালে থাকিয়া কাশীখণ্ড ও অন্যান্য অনেক পুরাণ গ্রন্থ ব্যাখ্যা শুনিতে শুনিতে এবং প্রত্যহ স্বয়ং পাঠ করিতে করিতে সংস্কৃতে র্তাহার চমৎকার ব্যুৎপত্তি জন্মিয়াছিল । পুঠিয়ায় তাহার সাহায্যে একটা সংস্কৃত চতুষ্পষ্ঠী প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। তদ্ভিন্ন পনর ষোলট ছাত্রকে বিক্রমপুর, নবদ্বীপ ও কাশীতে সম্পূর্ণ ব্যয় দিয়া সংস্কৃত শাস্ত্রে পণ্ডিত করিয়া'দিয়াছেন | শরৎসুন্দরী অতি প্রত্যুষে শয্যা ত্যাগ করিয়া প্রাতঃসন্ধ্যাদি নিৰ্বাহ করিতেন। তাহার পর দরবার গৃহে উপবেশন করিয়া প্রধান কৰ্ম্ম চারীদিগের নিকট সম্পত্তি সম্বন্ধীয় যাবতীয় বিষয় জ্ঞাত হইয়া আপনার অভিমত ব্যক্ত করিতেন । তাহার পর প্রার্থীদিগের প্রার্থনা শুনিয়া তাহার যথাযথ ব্যবস্থা দিয়া, দিবা দশ ঘটিকার সময় স্নানান্তে বিষ্ণু সহস্ৰ নাম আদি পাঠ, ব্রতাঙ্গ কাৰ্য্য সকল, গো-সেবা, গোগ্রাস দান এবং আহ্নিক পূজা করিতে করিতে দিব। তিনটা উত্তীর্ণ হইত। তাহার পর, অন্যান্ত দরিদ্র বিধবাদিগের সঙ্গে এক পংক্তিতে বসিয়া কঠোর হবিষ্যান্ন করিতেন । র্তাহার নিকটে প্রত্যহই নিয়মিতরূপে চল্লিশ পঞ্চাশ জন অনাথা বিধবা বাস করিতেন ; ইহা ব্যতীত ভিক্ষাধিনী হইয়া র্যাহার একবার রাজ অন্তঃপুরে প্রবেশ করিতেন, দুই তিন মাস কালের মধ্যে প্রায়ই র্তাহারা আর যাইতেন না । সকলের জন্ত উত্তম উত্তম আহারীয় দ্রব্যের আয়োজন হইত, অথচ তিনি প্রাণ ধারণ উপযুক্ত অতি সামান্ত ছবিষ্যান্ন করিলেও সকলের সঙ্গে একত্র ভোজন করিতেন। তিনি, পৃথক ভোজন করিলে দুঃখিনীরা মনে কষ্ট। পাইতে পারে বলিয়া এবং তাহার সাম্য-ধৰ্ম্মে প্রবণতায় সকলের সঙ্গে একত্রে ভোজন করিতেন । সে ভোজনে ও র্তাহার কোনও