পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। ©r (t Ö অন্তে নানারূপে জালাতন করিলেও, তিনি একটা কথাও বলিতেন না । প্রার্থিনীদিগের অবস্থা এবং অভাবের তারতম্য থাকিলেও তিনি অভাবের মাত্রা অনুসারে দানে তারতম্য করিলে অন্তে মনে ব্যথা পাইতে পারে, এই কারণে যাহাকে যাহা দিতেন, তাহ গোপনে দিয়৷ অন্তের নিকটে প্রকাশ করিতে নিষেধ করিয়া দিতেন । এক দিন দুই জন উদ্ধত স্বভাব বিধবা, ঐরূপে গুপ্ত দান পাইয়া পরস্পরে কে কত পাইল, তাহ পরস্পরের মধ্যে প্রশ্ন করা উপলক্ষে ক্রমে দুই এক কথায় ঘোরতর কলহ আরম্ভ করিল। এস্থলে গৃহস্বামিনী নীরবে থাকিলে মুখরাদিগের অশান্তি উত্তরোত্তর বৃদ্ধিই পাইয়া থাকে। শরৎমুন্দরী সে সময়ে নিকটেই ছিলেন, তাহাদিগকে উপদেশ দিতে গেলে তাহারা তাহার উপদেশ না বুঝিয়া প্রভুত্ব বিস্তার বিবেচনায় মনে ব্যথা পাইতে পারে বলিয়া তিনি কাহাকেও কিছুই বলিতেছেন না । পরিচারিকারাও কিছু বলিতে সাহস পাইতেছে না। কিন্তু নরকহৃদয়া কলহ পরায়ণাদ্বয়ের নিকটে তাহাও দোষজনক রূপে প্রতিপন্ন হইল । তাহদের প্রত্যেকের বিশ্বাস যে, অন্ত জন মহারাণীর অনুগ্রহে গৰ্ব্বিত হইয় তাহাকে অযথা আক্রমণ করিয়াছে। মহারাণী, এক জনের হইয়া অন্তকে কেন নিবারণ করিতেছেন না, এই বিশ্বাসে তাহারা পরম্পরে নানা প্রকার বাদ প্রতিবাদে রাজ অস্তঃপুরী কোলাহলময়ী করিয়া তুলিল। শেষে মুখে মুখে কলহ শেষ না করিয়া উভয়ে দুই খানি ঝাটা হাতে লইয়া পরস্পরকে আক্রমণে উপস্থিত হইল। কি উপায় করিবেন ভাবিয়া শরৎসুন্দরী বিহবলা হইয়াছেন । কিন্তু, কলহপ্রিয়াদিগের সে বিশ্বাস নাই। তাহারা প্রত্যেকে মনে করিল, “আমি নিরপরাধিনী, কেবল মহারাণীর স্পৰ্দ্ধায় অন্তে উত্তেজিত হইয়া আমাকে অপমান করিতেছে । যদি তিনি