পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎস্বন্দরীর জীবন চরিত। واژ নিরপক্ষপাতিনী হইবেন, তবে আমার প্রতিযোগিনীকে এতক্ষণ । কেন ঝাঁট মারিয়া বিদায় করিতেছেন না । অতএব প্রতিযোগিনী দ্বারা আমাকে অপমান করানই শরৎসুন্দরীর মনের ইচ্ছ।” সুতরাং তাহারা পরস্পরে প্রতিযোগিনীর সঙ্গে সঙ্গে নিরপরাধিনী পবিত্র-হৃদয়৷ শরৎসুন্দরীকেও নানা রূপে কটু কথা বলিতে আরম্ভ করিল। শেষে দুই জনেই সকল বিবাদের আকর বলিয়। শরৎকুন্দরীকে বাট মারিতে অগ্রসর হইল। তখন আর পরিচারিকার স্থির থাকিতে পারিল না। তাহার রাগান্ধ হইয়। “এতবড় স্পৰ্দ্ধা” বলিয়া দুই তিন জনে যখন কলহমত্তাদ্বয়কে ধরিতে অগ্রসর হইল, তখন, অসাধারণ ক্ষমাশীল৷ শরৎসুন্দরী উঠিয়া দাসী দিগকে নিবারণ করিয়া উভয়ের মধ্যে দণ্ডায়মানা হইয়া কহিলেন,—“মা ! আপনার কেন অনর্থক বিবাদ করিতেছেন, যদি আমার কিছু অপরাধ হইয়া থাকে, তবে অামাকেই বঁটা মারুন” কলহ মুগ্ধারা পূৰ্ব্বেই দাসীদিগের ভয়ে নীরব হইয়াছিল। তাহার পরে, সেই মূৰ্ত্তিময়ী শাস্তিকে নিকটে দেখিয়া লজ্জায় অধোবদন হইয়া আত্মগ্নানিতে দগ্ধ হইতে লাগিল। তিনি অতি মিষ্ট কথায় উভয়কেই সান্থনা করিয়া প্রকাশ্বে সমান ভাবে কিছু টাকা দিয়া তাহদিগকে বিদায় করিলেন। কি আশ্চৰ্য্য ক্ষমা ! কি চমৎকার মানবদুলত ঔদার্য্য ? সেই ভুদেবী ব্যতীত নরলোকে এরূপ সহ গুণ আর কাহার হইতে পারে ? . মহারাণীর অন্তঃপুরে যে সকল অনাথ বিধবা বাস করিত, তাহাদের সাধারণের পাক এক স্থানে হইত এবং যাহারা স্ব-পাকে আহার করিত, তাহাদের জন্ত পৃথক পৃথক্ পাকের অনুষ্ঠান হইত। এক দিন, অন্তঃপুরে কয়েকটা নুতন কঁঠাল আসিয়াছে, মহারাণী স্বয়ং তাহ প্রত্যেককে বিভাগ করিয়া দিবার ব্যবস্থা করিবার সময়,