পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

レア* মহারাণী শরৎকুন্দরীর জীবন-চরিত । শরৎমুন্দরী, দীন দরিদ্রকে প্রত্যহ উপস্থিত মত পরিতোষরাপে আহার করাইতেন, এবং যে কোনও ব্যক্তি বিপদগ্ৰস্ত হইয়া উপস্থিত হইলেই যথাসম্ভব দান করার ক্ষমতা প্রধান কাৰ্য্যকারকদিগের প্রতিও দিয়াছিলেন। তবে অতিরিক্ত পরিমাণ দান করিতে হইলে তাহার অনুমতি লইবার প্রয়োজন হইত। ফলতঃ কৰ্ম্মচারীদিগের হৃদয় তাহার মত উদার হইতে পারে না। অতএব, কৰ্ম্মচারীদিগের নিকটে দুই টাকার অতিরিক্ত প্রায়, অনেকেই পাইত না । তজ্জন্ত অধিকাংশ দরিদ্রই শরৎসুন্দরীর নিকটে প্রার্থী হইত। কৰ্ম্মচারিগণ, অনেক সময়েই দানে বাধা দিতেন, এবং এরূপও কহিতেন যে, তাহার পুত্রের সম্পত্তি, তিনি কেবল রক্ষিকামাত্র ; অতএব আয়ের সমস্ত টাকা ব্যয় করার অধিকার তাহার নাই। আর সেরূপ করিলে বৃটিস গবর্ণমেণ্ট তাহার কৃতকার্য্যে অসন্তুষ্ট হইয়া সম্পত্তি পুনরায় কোর্ট অব ওয়ার্ডেশের তত্ত্বাধীনে লইবেন । কিন্তু, শরৎসুন্দরী সে কথায় ক্ৰক্ষেপও করিতেন না। তাহার দৃঢ়তর বিশ্বাস ছিল যে, তিনি পুত্রের স্থাবর সম্পত্তি নষ্ট না করিলেই হইল । পুঠিয়ার রাজসংসার চিরদিন ধৰ্ম্মবলে বলীয়ান । নগদ টাকা ব্যয়ে অসন্তুষ্ট হইয়। গবৰ্ণমেণ্ট তাহার হস্ত হইতে সম্পত্তি লইলে তাহার অণুমাত্রও পরিতাপের বিষয় নাই। ফলতঃ, গবর্ণমেণ্ট, তাহার চরিত্রে, তাহার সম্পত্তি-শাসন-প্রণালীতে এবং নিঃস্বার্থ দান ধৰ্ম্মে বিশেষ সন্তুষ্ট ছিলেন। আর তাহার ফলস্বরূপ ১২৮১ বঙ্গাব্দে তাহাকে রাণী উপাধি এবং ১৮৭৭ খৃষ্টাব্দে দিল্লীর প্রসিদ্ধ দরবার কালে মহারাণী উপাধিতে ভূষিত করিয়াছিলেন। কিন্তু উপাধি পাইয়া তিনি সন্তোষের পরিবর্তে দুঃখ প্রকাশ করিয়াছিলেন। রাজসাহীর কালেক্টর সাহেব, র্তাহাকে মহারাণী উপাধি লাভের বিষয় সংবাদ দিলে তিনি সাহেবকে বলিয়া পাঠাইয়াছিলেন যে, “আমার দ্যায় হিন্দু