পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। । λ & পুঠিয়া, বৃন্দাবন, এবং কাশীধামের দেবালয় নিৰ্ম্মাণ ও অন্নসত্রের উন্নতির জন্য বিস্তর অর্থ ব্যয় করিয়াছেন। অন্নসত্রে প্রতি বৎসর তিন চারি হাজার টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করিতেন। ইহা ভিন্ন মহারাণী গুরু, পুরোহিত, প্রাচীন কৰ্ম্মচারী, অনাথ বিধবা, অসমর্থ প্রাচীন, প্রায় দুই শত ব্যক্তিকে গ্রাসাচ্ছাদন দিয়া প্রতিপালন করিতেন। ইহ। ভিন্ন তাহার অন্ত:পুরী দুঃখিনীর হাট ছিল । தி তাহার অমানুষী ক্ষমাশীলতা এবং ত্যাগ স্বীকারের ভূরি ভূরি দৃষ্টস্ত থাকিলেও, নিম্নের ঘটনা কয়টা এস্থলে উল্লেখ করা যাইতেছে। কোনও এক উদ্ধত-স্বভাব । ব্রাহ্মণের বিধবা কতকখানি ভূমির বিষয় মীমাংসাজন্ত মহারাণীর নিকট আসিয়াছিল । তিনিও সত্বরেই তদ্বিষয় অনুসন্ধান করিয়া, প্রকৃত অবস্থা জ্ঞাপন জন্ত কৰ্ম্মচারীদিগকে আদেশ করিয়াছিলেন । কিন্তু নানা কাৰ্য্যের গোলোযোগে তাহাতে কিছু বিলম্ব হইয়াছিল। প্রাথিনী, প্রত্যহ রাজভোগে মুখে থাকিয়াও মহারাণী কেন, কৰ্ম্মচারীদিগকে ধমক দিয়া কি দণ্ড করিয়া দুই চারি দিনের মধ্যেই তাহার অনুকুল আজ্ঞা করেন না, এই সন্দেহে সেই উদ্ধত-স্বভাবার ক্রমে বিরক্তি এবং ক্রোধ বৃদ্ধি হইতে লাগিল । এই সময়ে মহারাণীর একটা ভগিনীপুত্রের অকাল মৃত্যু হইয়াছিল সুতরাং কিছুদিন মহারাণী রাজকাৰ্য্যে মনোনিবেশ করিতে পারিবেন না, ইহাতে আরও বিলম্ব হইবে বলিয়া সেই মনু্যময়ী বিধবা স্বার্থস্কি হইয়া মহারাণীর সেই শোকসময়েই র্তাহাকে বিরক্ত আরম্ভ করিল। তিনি পুনরায় তদন্তের ফল শীঘ্র জানার জন্ত কৰ্ম্মচারীদিগকে বলিয়া Lপাঠাইলেন। কিন্তু বিধবার তাহ সহ হইল না। সে মহারাণীকে যতদুর সাধ্য কটু কথা বলিয়া শাপ প্রদান করিতে লাগিল, এবং তহারই অভিসম্পাতে র্তাহার ভগিনীপুত্রের মৃত্যু হইয়াছে একথাও