পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సె\ు - মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। বলিতে কুষ্ঠিত হইল না। তাহার কটুভাষায় দাসীরা রাগান্ধ হইয়৷ উঠিলেই, মহারাণী তাহাদিগের প্রতি বিরক্তি প্রকাশে নিবারণ করিলেন ; আর আপনার ক্রটি বিশ্বাসে সেই মুহূৰ্ত্তে প্রধান কৰ্ম্মচারীকে ডাকাইয়। বিধবার প্রার্থিত ভূমি তাহার দখলেরাখার আদেশ প্রদান করিয়া বিধবাকে উপযুক্ত পাথেয় আদি দিয়া মিষ্ট ভাষায় ক্রট মার্জন। চাহিলেন। নরক-হৃদয়া বিধবা তখন বুঝিলেন যে, মৃদুচরিত্র। মিষ্টভাষিণী শরৎসুন্দরী বাস্তবিকই মানবী নহেন। সে আত্মগ্নানিতে এরূপ ব্যাকুল হইয়াছিল যে, আর কোনও উত্তরই করিতে পারিল না । আর এক সময়ে মহারাণীর পুত্রের বিবাহের উৎসব মধ্যে সধব। বিধবা প্রায় তিনশত স্ত্রীলোক অন্তঃপুরে সমাগত ৷ হইয়াছিলেন । পূৰ্ব্বেই উল্লিখিত হইয়াছে যে, তিনি সকলের সঙ্গে একত্রে, অথচ অন্তে ভাল শয্যায় এবং তিনি সামান্য শয্যায় শয়ন করিতেন। একটা দৌড়ঘর, মধ্যে পথ রাখিয়া উভয় দিকে দরিদ্র। অদরিদ্র। সকলের জন্তই নিৰ্ব্বিশেষ শয্যা প্রস্তুত হইয়াছে। সেই দুই পাশ্বের শয্যায় প্রায় একশত ব্রাহ্মণকন্ঠ শয়ন করিয়াছেন। সেই পংক্তির মধ্যে এক পার্থে র্তাহার কম্বল শয্যা ও তাহার পাশ্বে র্তাহার পুত্রের শয্যা প্রস্তুত হইয়াছে। সকলেই শয়ন করিয়াছেন । এই গৃহটী দ্বিতল, নিম্নতল ব্যতীত মলমূত্র ত্যাগের স্থান ছিল না। একটা প্রাচীন। দ্বিতল হইতে অবতরণের সিড়ির বিপরীত প্রান্তে শয়ান ছিলেন। শেষ রাত্রিতে র্তাহার উদর বিকার জন্মায়, তিনি সেই শয্যা পংক্তির মধ্যস্থিত সঙ্কীর্ণ পথে সিড়ির অভিমুখে যাইতে যাইতে বেগ ধারণে অসমর্থ হইলেন। পথে মলত্যাগ করিতে করিতে নিম্নে মলত্যাগ স্থল পর্য্যন্ত গিয়াছিলেন। কিন্তু, শেষে লজ্জায় ম্ৰিয়মাণ। হইয়া। আপনার শয্যায় আসিয়া শয়ন