পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ راموا ] কাঙ্গালিনী, তোমাকে প্রেমিক জ্ঞানে প্রেম ভিক্ষা করিতে আসিয়াছিলাম। সংসার কামে পরিপূর্ণ, তথায় প্রেম নাই । তাই বিজন বনে তোমার নাম শ্রবণ করিয়া বড় সাধে ছুটয়া আসিয়াছিলাম কিন্তু, কি মনস্তাপ ! এখানেও কাম ? এখানেও কামের প্রাদুর্ভাব! এখানেও কাম ছদ্মবেশে বসতি করিতেছে ? সন্ন্যাসী মাতৃসম্বোধনে পুনরায় সন্ন্যাসিনীকে কহিলেন, মা ! দয়। করিয়া আমার আশ্রমে চরণধুলি দিয়া পবিত্র করিয়াছ, তোমার চরণ রেণু লাভ করিবার সময় পাপদেহ পবিত্র হইয়াছে । আমি তোমার সস্তান, তুমি আমার মাত। মা আমায় কিঞ্চিৎ উপদেশ দিয়া কৃতার্থ করুন । সন্ন্যাসিনী কহিলেন, আমি কি উপদেশ দিব বল ? শ্ৰীগুরুদেব রূপ। করিয়া এ দাসীকে যাহা বলিয়াছিলেন, তাহাই এতক্ষণে বলিলাম, আরও কিছু বলিতেছি, শ্রবণ কর । কামিনীকাঞ্চনবিরহিত মনে ভগবানের নাম লইয়া সাধনা করিলে তাহ ধারণা হইবার সম্ভাবনা ৷ সেই নাম ধারণাকে ধ্যানসিদ্ধি কহে । সাধকের ইহা দ্বিতীয়বস্থা। এই অবস্থা লাভ করিতে হইলে বনই সাধনের উপযুক্ত স্থান, যেহেতু তথায় কামনা স্থান পায় না। কিন্তু তুমি সেই কামনাবিহীন স্থানে আসিয়া হৃদয়ে কামনারাশি যত্নপূর্বক সঞ্চিত করিয়া রাখিয়াছ। অতএব সেই কামনাপুঞ্জ এই মুহূৰ্বে জ্ঞানাল্লির দ্বারা ভস্মীভূত করিয়া ফেল, তাহ হইলে তোমার পূর্ণ মন হইবে। পূর্ণ মন হইলে তাহার কি প্রকার ফল ফলিয়া থাকে, তুমি আপনি বুঝিতে পারিবে । এই কথা বলিয়া সন্ন্যাসিনী প্রস্থান করিলেন। এক্ষণে কথা হইবে যে, ধ্যানের পাত্রপাত্ৰী কাহার ? ধ্যানের তাৎপৰ্য্যাকুসারে পাত্রপাত্ৰী নির্ণয় করিতে যাইলে দেখা যায়, যে নর