পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ سb-b] রমণ কার্য্যে দেখা যায়, যাহার মানসিক বল যত অধিক, তাহার সে শক্তি তত বৃদ্ধি হইয়া থাকে। র্যাহার মানসিক বল দুৰ্ব্বল, রমন কাৰ্য্যে র্তাহার তত দৌৰ্ব্বল্য প্রকাশ পাইয়া থাকে। মানসিক বল বলিলে মস্তিষ্কের বল বুঝিতে হইবে । মস্তিষ্ক ও তাহার প্রবদ্ধিতাংশ মেরু মজ্জা হইতে স্নায়ুদিগের উৎপত্তি হয়। সুতরাং মস্তিষ্কাদি সবল থাকিলে স্বায়ুরাও সবল থাকে এবং তাহাদের কার্য্যও সুচারুরূপে সম্পন্ন হয়। মস্তিষ্ক দুৰ্ব্বল হইলে স্নায়ুরাও দুৰ্ব্বল হয়, ফলে তাহাদের কার্য্যে বিশৃঙ্খলা ঘটিয়া যায় । মানসিক বলে একজন মৃত্যুমুখে পতিত হইয়াও মরে না, কিন্তু মানসিক বল না থাকিলে সহজাবস্থায়ও সে মরিয়া যাইতে পারে। যোগীরা সপাহত হইলে সর্পাঘাত দ্বারা সেই বিষ পুনরায় শরীর হইতে বাহির করিয়া দিতে পারেন । অথবা যে স্থানের বিষ সেই স্থানেই চিরকাল আবদ্ধ করিয়া রাখিতে পারেন অর্থাৎ শরীরে বিব সঞ্চার হইতে দেন না। যেমন হস্ত পদাদিতে সৰ্প দংশন করিলে তাহার কিঞ্চিৎ উদ্ধে বন্ধন দ্বারা শরীরের সৰ্ব্বত্রে বিষের সঞ্চার হওয়া রক্ষা হয়, মানসিক বল থাকিলেও অবিকল ঐ প্রকার কার্য্য হইয়া থাকে। যেমন, কাহার কোন স্থানে কণ্টক বিদ্ধ হইলে সে অস্থির হয়, কেহ বা তরবারি আঘাতও সহ করিতে পারে। উভয় স্থলে মানসিক বলের ক্রিয়া মাত্র । মানসিক শক্তির কার্য্য নির্ণয় করিবার জন্য ইংরেজ বাহাদুরের অনেক প্রকার পরীক্ষা করিয়াছেন। একদা কোন ব্যক্তি রাজদ্বারে প্রাণদণ্ডের শাস্তি পায়। রাজসরকারের নিয়মানুসারে সংহার নী করিয়া পণ্ডিতেরা তাহাকে একটা গৃহের মধ্যে লইয়া যাইয়া বলিলেন, দেখ, এই তীক্ষ শাণিত সুবৃহৎ অস্ত্রের দ্বারা তোমার হাতটা কাটিয়া ফেলিব। হস্ত কাটিয়া ফেলিলে শোণিত বহির্গত হইবে। যখন সমুদয়