পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ bున ] শোণিত বাহির হইয়া যাইবে, তখন তোমার কম্প উপস্থিত হইবে এবং কঁাপিতে কঁাপিতে মরিয়া যাইবে । এই কথা তাহার মনে প্রত্যয় মানিল । তাহার মানসিক শক্তি আর থাকিল না, ভয় আসিয়া তাহাকে অধিকার করিল । পণ্ডিতের। এই কথা বলিয়া বস্ত্রের দ্বারা উহার চক্ষু বাধিয়া দিল এবং হস্তপদ বন্ধন পূৰ্ব্বক তাহার বাছবিশেষে একটা আলপিন স্পর্শ করিবামাত্র সে চীৎকার করিয়া বাপরে ! মারে ! করিয়া ছটফট করিতে লাগিল । সে মানসিক চক্ষে দেখিতে লাগিল, যেন, সেই শাণিত অস্ত্রাঘাত হইয়াছে । পণ্ডিতেরা আলপিন স্পর্শিত স্থানে শোণিতের উষ্ণানুষ্ণ সদৃশ জল মৃদু ধারায় ঢালিতে লাগিলেন। এই জলধারাকে সে শোণিত বলিয়া মনে করিল এবং কিয়ৎকালের মধ্যে তাহার কম্পন আসিয়া উপস্থিত হইল এবং কাপিতে কঁাপিতে তৎক্ষণাৎ মরিয়া গেল। মানসিক বল না থাকিলে এইরূপ পরিণামই প্রায় ঘটিয় থাকে । পূর্ণভাবে মানসিক শক্তি বৰ্দ্ধিত হইলে মানসিক বৃত্তিগুলিও পূর্ণভাবে বৰ্দ্ধিত হইয়া থাকে । কামবৃত্তি বৰ্দ্ধিত করিয়া যদ্যপি সংসারে অবস্থিতি করা যায়, তাহা হইলে অত্যধিক রমণেচ্ছ ও তৎকার্য্যে সৰ্ব্বদা ব্যাপৃত থাকিতে সকলে বাধ্য হইয়া থাকে। কিন্তু যে ব্যক্তি ধ্যানপরায়ণ যোগী, তাহার সেই বৃত্তি ভগবানের সহবাসজনিত মহাসুখের দিকে নিয়োজিত হয় বলিয়া ইন্দ্রিয়সুখের দিকে তাহ! ধাবিত হইতে পারে না। কামরূপ মানসিক বৃত্তি ভগবানের দ্বারা পরিতৃপ্তি লাভ হইয়া যায়। যেমন রমণ কালে আনন্দে মন মাতিয়া উঠে, ভগবানের সহিত সংযোগ হইলে তদপেক্ষা কোটি কোটি গুণে আনন্দ উথলিয়া উঠে, সে সময়ে মন ঘাইয় তাহাতেই লিপ্ত হইয়া থাকে । বাহিক রমণের বিরাম আছে, তাহার দ্বারা মানসিক বলের