পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ so I হ্রাস হয়, তাহার দ্বারা শরীর দুৰ্ব্বল হয় এবং ইচ্ছামত রমণের শক্তি কমিয়া যায়, কিন্তু সে রমণের ফল স্বতন্ত্র প্রকার। তন্দ্রার মানসিক শক্তি বৃদ্ধি হয়, শরীর বলিষ্ঠ হয়, পরমানন্দ লাভ করিবার ক্রমে অধিকারী হওয়া যায়। সেই জন্য প্রভু বলিতেন যে, যে পরিমাণে কাম শক্তি খৰ্ব্ব করিবে, ভগবানকে লইয়া রমণ সুখ অর্থাৎ সম্ভোগ করিবার সে তত অধিকারী হইবে । যোনি লিঙ্গের রমণ সাময়িক সুখের নিমিত্ত । তাহা যেমন সীমাবিশিষ্ট, সুখও তেমনি ক্ষণিক। যখন পূর্ণ কানী হইয়া ভগবানের সহিত রমণ করা হয়, তখনকার সুখের অবধি থাকে না । ভগবানের সহিত রমণ কি প্রকার ? ষখন ধ্যানী ধ্যানের দ্বার। অর্থাৎ পুর্ণমন পূর্ণ পরিমাণে পরম পুরুষে প্রদান করেন, তখন ভগবান আধেয় অর্থাৎ লিঙ্গরূপে সাধকের আধার অর্থাৎ মনরূপ যোনিতে প্রবেশ করিয়া অনস্ত রমণের সুখ প্রদান করিয়া থাকেন। কাম বৃত্তির প্রকত উদ্দেশ্য এই ৷ এই স্থানে আর একটি কথা জিজ্ঞাস্য হইতে পারে । ভগবানের সহিত যে রমণের কথা উল্লিখিত হইল, তাহাতে নর নারী উভয়কে নিন্দেশ করা হইয়াছে। পুরুষের নারীর সহিত রমণ কাৰ্য্য সম্প حككم করিয়া থাকে, কিন্তু ভগবানের সহিত রমণ কালে পুরুষদিগকে প্রকৃতি বলা হইল কেন ? পুরুষ প্রকৃতি বিচার করিতে হইলে রামকৃষ্ণদেবের মতে এক ভগবানই পুরুষ এবং জীবমাত্রেই প্রকৃতির অন্তর্গত। সাধারণ পুরুষ প্রকৃতি ভাবকে জৈব ভাব বলে, প্রকৃতি ভাব আনয়ন করাই সাধনের উদেশ্ব। আধার আধেয় সম্বন্ধ জ্ঞান হইলে মুতরাং আপনাকে প্রকৃতি জ্ঞান না করিয়া আর কি করিবে ? কেহ বলিতে পারেন যে পুরুষের দ্বার সন্তান জন্মায়, সেই জন্য আধেয় বিশেষ, কিন্তু রামকৃষ্ণদেৰ