পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

l s& J মদ-শব্দে গৰ্ব্ব বা মত্ততা । সংসারে সাংসারিক ভাবে মনের এই বুক্তিবিশেষকে নিয়োজিত করিয়া রাখিলে ক্রমে তাহার শক্তি ক্ষয় হইয়া যায়। বিষয়ের মত্তত বা ঐহিক গৰ্ব্বের পরিণাম পরিসমাপ্তি না হউক, উহা শীঘ্রই তেজহীন হইয়া আইসে । ਬੋੜ মত্ততা সংসারে ধাবিত হইতে না দিয়া যদ্যপি মনের পূর্ণত কাল পৰ্য্যন্ত মনেই বৰ্দ্ধিত করা হয়, তাহা হইলে ভগবানের নামে ও ভাবে উন্মত্ত হইবার সময় তাহার অভাব হয় না। কিন্তু সংসারক্ষেত্রে তাহা ব্যয়িত হইয়া যাইলে প্রকৃত কার্যাকালে আর তাহার সম্বন্ধ স্থাপন না হওয়ায় সে সময়ে কাৰ্য্যক্ষেত্রে ঠকিয়া যাইতে হয় । মাদকাদি দ্রব্যের দ্বারা যেমন মত্তত জন্মায়, সাংসারিক প্রত্যেক পদার্থেরও তেমনি মত্তত জন্মাইবার শক্তি আছে, তাহা আমরা সকলেই জানি । মত্ততা আসিলে সে সময়ে মন এক দিকেই ধাবিত হয়। মন যখন দিকবিশেষে চলিয়া যায়, তখন দিকবিশেষে তাহার অভাব হইয়া পড়ে । সুরাদি পান করিলে মনের ভাব যখন যেরূপ প্রকার হয়, তখন অন্য প্রকার ভাব তথায় স্থান পাইতে পারে না। মদের ধৰ্ম্মই এই ৷ মনে যখন সাংসারিক মদ অবস্থিতি করে, তখন সে মন ভগবানের দিকে গমন করিতে অশক্ত হয়। মন যখন ভগবানে লিপ্ত থাকে, তখন মত্তত আসিয়া পূর্ণভাবে কাৰ্য্য করিয়া যাইতে পারে। সংসারে যে মত্ততা আমাদের সুখের কারণ হয়, যে মত্ততায় আমাদের আত্মপ্রতারণা উপস্থিত হয়, যে মত্ততায় আমাদের কৰ্ত্তব্য জ্ঞান বিলুপ্ত হয়, সে মত্তত ভগবানে যাইলে আমাদের আনন্দের আর অবধি থাকে না । যেমন বিষয় রসাদির মাত্রা বাড়াইলে মত্ততার পরিমাণ বৃদ্ধি হয়, ভগবানের নাম রস পান করিলে তেমনি মত্ততা আইসে । এই রস যতই পান করা যায়, ততই মত্ততার আধিক্য হয়। মুরার মত্ততায় যেমন কটির বস্ত্র