পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ६१ ] জন্য উহা দুলৰ্ভৰ্য প্রাচীরবৎ হইয়া থাকে, তাহ আমরা বুঝিতে অশক্ত হইয়া থাকি। পূর্ণমনে পূর্ণ ঈর্ষাভাব প্রকাশ পায়। পূর্ণ ঈর্ষা না থাকিলে কখন কেহ ভগবান লাভ করিতে পারে না। যাহার ভগবানের প্রয়োজন হয়, তিনি কি মনে করেন ? কেবল দৃষ্টান্ত র্তাহার পক্ষে অমৃতবং কার্য্য করে । যখন তিনি মনে করেন যে, বালক প্ৰহলাদ হিরণ্যকশিপুর মহা অত্যাচারে কবলিত হইয়াও ভগবানের ক্রোড়ে উপবেশন করিয়াছিলেন, জড় পিতার ক্রোড়চু্যত ধ্রুব জগৎপিতা নারায়ণের ক্রোড়ে স্থান পাইয়াছিলেন, তখন তাহার মনে ঈর্ষারুক্তি উত্তেজিত হইয়া বলে যে, তুমিও সেই ব্রহ্মাণ্ডেশ্বর লাভ করিতে না পরিবে কেন ? ঈর্ষাবৃত্তি র্যাহার আছে, যাহার পূর্ণ ঈর্ষাবৃত্তি আছে, তাহার অভাব কিসের ? সৰ্ব্বদা ধ্রুব প্ৰহলাদের সৌভাগ্যের কথা ঈদয়-মাঝে জাগরুক থাকায় ঈর্ষানলে তিনি যত দন্ধীভূত হইতে থাকেন, ততই ভগবান ভগবান বলিয়। র্তাহার ব্যাকুলত আইসে, তাহাকে লাভ করিবার জন্য ততই তিনি চেষ্টা করিয়া থাকেন । ঈর্ষাহীন হইলে মনের ঐরূপ ইচ্ছ। থাকে না, সুতরাং তাহাকে সাধনপধে ঠকিয়। যাইতে হয় । রামকৃষ্ণদেব এই নিমিত্ত ধ্যানীদিগকে বনে যাইবার জন্য ব্যবস্থা করিয়া দিয়াছেন । ধ্যানের তাৎপর্য্য দ্বারা বুঝ। যাইতেছে যে, পূর্ণমন ন হইলে কষ্মিন কালে ধ্যানের অধিকার জন্মায় না । এক্ষণে কোন সাধক ধ্যানের যোগ্য, তাহ অনায়াসে জ্ঞাত হওয়৷ যাইবে । ইচ্ছামত কেহই ধ্যান করিতে পারেন ন!, সখ হইলেই ধ্যানী হওয়া যায় না। রামকৃষ্ণদেব বলিতেন যে, উকীলের। হাকিমের সম্মুখে দাড়াইয়া অনর্গল কতই বলিয়া থাকেন। সেইরূপ বলিতে অনেকের সাধ হইতে পারে, অথবা o