পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ సిy ] যখন ডাক্তার রোগীকে দেখিয়া তৎক্ষণাৎ কাগজ লইয়া চড় চড় করিয় ঔষধ লিখিয়া দেন, তখন সেইরূপ ব্যবস্থা করিবার শক্তি লাভ করিতে অনেকের ইচ্ছা হয়। কেবল ইচ্ছা হইলে কি হইবে ? উকিল, ডাক্তারকে বাহিরে দেখিতে অতি সহজ । মনে হয়, ইহারা ফাকি দিয়া বিশেষ পরিশ্রম বিনা মুঠা মুঠ টাকা লইয়া যায়, কিন্তু তাহদের সেই অবস্থা লাভ করিবার জন্য যে কত সাধ্য সাধনা করিতে হইয়াছে, কত আমড়া ভাতে ভাত খাইতে হইয়াছে, তাহ কে গণনা করেন ? সেইরূপ ধ্যানের ফল অতি সুন্দর, ধ্যানের কার্য্য অতি চমৎকার। সেই জন্য যোগীদিগের কথা লইয়। চিরকাল আন্দোলন হইয়া থাকে । কেবল আন্দোলন করিলে কি হইবে ? তাহা সাধনার বিষয়, অনুকরণ কিম্বা বাক্যের ছটার অধিকারভুক্ত নহে। ধ্যানী হইতে হইলে পূর্ণ মনের আবখ্যক। পূর্ণ মন লাভ করিতে হইলে সংসারে তাহা ঘটিতে পারে না, এই জন্য বনই তাহদের একমাত্র স্থান । কোণে এবং মনের দ্বারা সংসার বুঝায়। র্যাহার বনগমনে অসমর্থ, যাহাদের পূর্ণ মন হইবার আপাততঃ উপায় নাই, তাহাদের মনের অবস্থার তারতম্যের দ্বারা কোণ এবং মন শব্দ কখন কখন উল্লিখিত হইতে পারে। কোণের বলিলে গৃহের নির্জন স্থানের ভাব আইসে। নির্জন স্থানে উপবেশন করিয়৷ দুই দণ্ড র্যাহারা ধ্যান করিতে পারেন, র্তাহাদের মনের অবস্থা সাধারণ সংসারী অপেক্ষা উচ্চ এবং বলবান না হইলে তাহারা সাময়িক মন স্থির করিতে কখনই পারিবেন না। যাহার যে বস্তু থাকে, তাহার সে বস্তু লইয়া কাৰ্য্য হইতে পারে। যাহার বিদ্যা নাই, তাহার বিচার করা সাজে না, যাহার ধন নাই, তাহার দাত কর্ণের ভাবে কাৰ্য্য হয় না, যাহার প৷ নাই, তাহার দৌড়ান হয় না, যাহার চক্ষু নাই, তাহার দর্শন করার ফল