পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ده د] চুপ করিয়া বসিয়া থাকে । কেহ নিকটে যাইলে অমনি চাহিয়া দেখে, সুতরাং তাহাদের তাহ নিদ্রাবস্থা নহে। যেমন কাহারও নিদ্রা না হইলে যখন চক্ষু বুজিয়া পড়িয়া থাকে, তখন তাহার মনে কি ভাবনা হয় ? অনেক সময়ে অনেকে লাক টাকার এবং পূৰ্ব্বদৃষ্ট কামিনীবিশেষের স্বল্পই দেখিয়া থাকে। বাদরদিগের দুইটা ভাব দেখা যায়। উদর এবং শীশ্ন । দাদরীর সমভিব্যাহারেই থাকে, সে বিষয়ের চিন্তা করিতে হয় না । বিশেষতঃ একটী দুইটী নহে, বদর বা হনুমানাদি একাকী অধিক সংখ্যক বাদরীর কৰ্ত্ত হইয়৷ বিহার করিয়া থাকে। তবে চিন্তার মধ্যে উদর । যখন চক্ষু বুজিয়া বসিয়া থাকে, তখন কাহার মাচায় শশা আছে, কাহার চালে লাউ আছে, কাহার গাছে পেয়ার আছে, সে সেই সময়ে তাহাই চিন্তা করিয়া রাখে, রৌদ্র কমিয়া যাইলে অমনি সদলে হুপহাপ করিয়৷ পূৰ্ব্ব চিন্তিত স্থানে যাইয়া উদর পূর্ণ করিয়া লয় । দলবাধিয়া ধ্যান করাও অবিকল সেইরূপ । পাচ জনে একত্রিত হইলে যে কেবল সভা বুঝায় তাহ নহে, সংসারকেও নির্দেশ করিয়া থাকে । এরূপ ধ্যানের সময় কখনই চিত্ত স্থির হইতে পারে না। হয় সাংসারিক চিন্তাপরম্পরা মানসাকাশে উদয় হইয়া ধ্যানের সময় কাটিয়া যায়, না হয় নিদ্রাকর্ষণ হইয়া থাকে । যে সকল সাধু সন্ন্যাসীরা সৰ্ব্বদা সংসারক্ষেত্রে ঘুরির বেড়ান এবং তন্ত্রাদি সাধনে মনের চাঞ্চল্য নিবারণের নিমিত্ত মাদক দ্রব্যাদি পান করিয়া থাকেন, তাহীদের ত দ্বারা মানসিক বল নিস্তেজ হইয়া আইসে । তান্ত্রিক ধ্যানীর মাতাল হইয় পড়েন এবং সাধু সন্ন্যাসীরা গাজার বাদসহিত্ব লাভ করেন । একে দুৰ্ব্বল মন, তাহাতে যদ্যপি তাহাকে কত্রিম উপায়ে ক্রমান্বয়ে উত্তেজিত করা যায়, তাহা হইলে উত্তেজনার পরিণাম অবসাদন কালে মনের পূর্বাপেক্ষা দৌৰ্ব্বল্য উপস্থিত হয়।