পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১০৩ ] বিহার করিয়া থাকে কিন্তু ইন্দ্রিয়চালনা স্থগিত থাকিলে মস্তিষ্কের শক্তি ক্রমে বৰ্দ্ধিত হয় । মস্তিষ্কের শক্তি সঞ্চিত হইলে যখন মনের বল জন্মায়, তখন সে মনে ধ্যান হইতে পারে । এই নিমিত্ত রামকৃষ্ণদেবের মতে এই শ্রেণীর সাধকদিগের স্থান “কোণে” বলিয়া উল্লিখিত হইল । পূর্ণ সংসারভাবাপন্ন নরনারীদিগের সাধনের স্থান মনে। যেহেতু ইহাদের মন স্থির করিবার উপায় নাই। সৰ্ব্বদ। বিষয় চিন্তা এবং সৰ্ব্বদা ইন্দ্রিয়াসক্ত হইয়া থাকিলে মস্তিষ্কের অতি শোচনীয়াবস্থ৷ উপস্থিত হয়। মস্তিষ্কের ধারণাশক্তি প্রায় থাকে না । মনের গতি এবং স্থিতি ইন্দ্রিয়বিশেষে আবদ্ধ থাকিলে তাহার স্থানান্তরের কার্য্য কিরূপে প্রত্যাশা করা যাইতে পারে ? পাচটা চিন্তার সহিত ছয়টা চিন্ত৷ করা যা অর্থাৎ কোন বস্তুর সাময়িক ভাবন করা যাইতে পারে। ভগবান সম্বন্ধীয় এই প্রকার সাময়িক চিন্তা করিবার স্থান তজ্জন্য মনে বলা হইয়াছে । সাধনের স্থান দ্বারা সাধকের অবস্থা নির্ণয় করা যায়। রামকৃষ্ণদেব সাধনের যেমন তিনটী স্থান দেখাইয়া গিয়াছেন, তেমনি যে নরনারীদিগের যে প্রকার অবস্থা, সেই অবস্থাসঙ্গত স্থানে অবস্থিতি করিয়া তাহাদের সাধন করা কৰ্ত্তব্য । অবস্থা অতিক্রম করিয়া কাৰ্য্য করিতে যাইলে পদে পদে বিপদের আশঙ্ক ঘটিয়া থাকে এবং কস্মিনকালে সাধনে কৃতকার্য্য হওয়া যায় না । আমি এপর্য্যন্ত ধ্যান সাধনার বিষয় আলোচনা করিলাম। ধানই যে একমাত্র সাধন এবং ভগবানকে লাভ করিবার একমাত্র উপায়, তাহা নহে, তবে উপায়বিশেষ বটে। ধ্যান সম্পূর্ণ মনের কার্য্য, সুতরাং যে স্থানে মানসিক বল লাভ এবং তাহ রক্ষা করিয়া সাধন সিদ্ধ হওয়া যায়, তাহাই কথিত হইল। রামকৃষ্ণদেব ধ্যানীদিগকে