পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8ه د ] কামিনীকাঞ্চনের সংস্রব হইতে সৰ্ব্বদা স্বতন্ত্র থাকিবার জন্য উপদেশ দিতেন। কামিনীদিগকে পুরুষ এবং পুরুষদিগকে কামিনী হইতে পৃথক হইয়া থাকিবার জন্য যে বার বার বলিতেন, তাহার ভূরি ভুরি দৃষ্টান্ত প্রদান করিয়াছি এবং অনেকেই সে সম্বন্ধে অনেক কথাই জানেন। স্ত্রীপুরুষ একত্রিত হইয়া ধ্যান হয় না, সস্ত্রীক হইয়া ধ্যান হয় না এবং সামাজিক ভাবেও ধ্যান হয় না । যদিও কিয়ৎকাল কোনমতে ধ্যান সাধনা চলিতে পারে, কিন্তু পরিণামে তাহ রক্ষা করিয়া যাওয়৷ একেবারেই মনুষ্যের সাধ্যাতীত ! যদিও কোন স্থানে হয়, তথায় অন্য কোন বিশেষ কারণ অবশুই থাকিবে । আমি পূৰ্ব্ব বক্তৃতাদিতে বলিয়াছি যে, আমার প্রভু সৰ্ব্বদ। বলিতেন যে, “কাজলকী ঘরমে যেক্ত সেয়ান হেণয়ে থোড়া বুদ লাগে পর লাগে। যুবতীক। সাতমে যেত্ত সেয়ান হোয়ে থোড় কাম জাগে পর জাগে ।” যেমন কর্জলসংলগ্ন গৃহে বাস করিলে অতি সুচতুর ব্যক্তির গায়েও তাহার দাগ লাগিবার সম্ভাবন, তেমনি যুবতীর নিকটে যতই বুদ্ধিবান হউক্ষ তাহার অন্ততঃ কামরুত্তির উত্তেজনা হইবেই হইবে । এই কথায় সহস্ৰ সহস্র প্রতিবাদ উথাপন হইতে পারে। কিন্তু কথাটা বুঝিয়া দেখিলে আর কাহারও দ্বিরুক্তি করিবার অধিকার থাকে না। কিয়ৎকাল পূৰ্ব্বে বলিয়াছি যে, র্যাহারা সৰ্ব্বদা স্ত্রীমণ্ডলীর মধ্যে বাস করেন, তাহদের অভ্যাসক্রমে এবং কামবৃত্তি অতি চরিতার্থ হইয়া যায় বলিয়। সামরিক কাৰ্য্য সাধন হইতে পারে কিন্তু যাহার অন্ততঃ এক পরমাণু কামবৃত্তি আছে, যুবতী দর্শনে তাহার চিত্তের বিকার উপস্থিত হইবে না, এ কথা যিনি বলেন, তিনি নিশ্চয় মিথ্যাবাদী, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। যখন সাক্ষাৎ ধৰ্ম্মরাজ যুধিষ্ঠির মতুষ্যের মানসিক দৌৰ্ব্বক কতদূর স্বীকার করিয়া গিয়াছেন, তখন