পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ) 6 సె ] ব্রাহ্মণ মৃদুস্বরে কহিলেন, চীৎকার করিতেছ কেন ? আমি আসিয়াছি। ব্রাহ্মণের এইরূপ নীচ প্রবৃত্তি দেখিয়া সন্ন্যাসিনী কহিতে লাগিলেন, বাবা ! তোমার এই কাজ ? আমি তোমার কন্যা, পীড়ায় কাতর। হইয়া মৃতবৎ পড়িয়া আছি। তুমি আমায় আশ্রয় দিয়া নিরাপদ করিয়াছিলে, সেই ভরসায় নিশ্চিন্ত হইয়া নিদ্রিত ছিলাম। বাবা । তুমি এ অবস্থায় আমার গৃহে একাকী প্রবেশ করিয়াছ কেন ? সন্ন্যাসিনীকে আক্রমণ করিবার মানসে ব্রাহ্মণ ক্রমে ক্রমে অগ্রসর হইতে লাগিল। সন্ন্যাসিনী ব্রাহ্মণের কু-অভিপ্রায় বুঝিতে পারিয়া কটিদেশে অঞ্চল বন্ধনপূর্বক মা ! মা ! বলিয়া যতবার ডাকিলেন, ব্রাহ্মণ কিন্তু ততবার নিষেধ করিল। কিরূপে বিপদ হইতে পরিত্রাণ পাইবেন, সন্ন্যাসিনী তাহ ভাবিয়া দশদিক শূন্য দেখিতে লাগিলেন। তিনি তখন ব্রাহ্মণকে পুনরায় কাতর হইয়া কহিলেন, বাবা! আমি তোমার আশ্রিতা, তুমি মা বলিয়া অভয় দিয়াছিলে, সেই জন্য তোমার গৃহে বাস করিয়াছিলাম। আমি অবলা, রোগে দুৰ্ব্বলা, সহায় সম্পত্তিহীনা। বাবা ! তোমার ম| আমি, তোমার কন্যা আমি, আমায় পরিত্যাগ করিয়া যাও । বাবা! আমার সৰ্ব্ব শরীর কম্পিত হইতেছে, মস্তিষ্ক বিমূর্ণিত হইতেছে, কণ্ঠ শুষ্ক হইয়া গিয়াছে, হৃৎপিণ্ড অস্থির হইয়াছে। বাবা ! তোমার পায়ে ধরিতেছি, ঘোড় হস্তে মিনতি করিতেছি, আমার সম্মুখ হইতে সরিয়৷ যাও । ব্রাহ্মণ কহিল, সন্ন্যাসিনী । আজও ধৰ্ম্মের মৰ্ম্ম কিছু বুঝিতে পার নাই –“জননী রমণী রমণী জননী” কথাটা কি অদ্যাপি শ্রবণ কর নাই ? এই কথা ব্রাহ্মণের মুখ বিনিঃস্থত হইবামাত্র সন্ন্যাসিনী ভীম গর্জনে বলিলেন, রে বর্বর । এতদূর আম্পৰ্দ্ধা ! এতদূর নীচাশা ! মনে করিয়াছিস্ কি ? তোর গৃহে আমায় একাকিনী পাইয়। পশুর ন্যায় ব্যবহার করিতে আসিয়াছিস্ ? পশু তুই ! তোকে আমি