পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s >8 | তাহার আদেশে এই প্রচার করিলাম। যে সাধকের ধ্যান করিতে ইচ্ছ। হইবে, তিনি কামিনীকাঞ্চন সম্বন্ধ যে পরিমাণে ত্যাগ করিবেন, সেই পরিমাণে তিনি সিদ্ধকাম হইবেন । ধ্যানের পূর্ণফল লাভ করিতে হইলে পূর্ণভাবে কামিনীকাঞ্চন ত্যাগ করিতে হইবে। এইরূপ সাধনের স্থান বন । যাহারা তাহ পারিবেন না, ঠাহাদের কেবল লোক-দেখান সাধনায় প্রাণ শীতল হয় না, তাহাদের পক্ষে বকলম ব্যতীত সাধন নাই । রামকৃষ্ণে বকল্মা-দেওয়া নরনারীদিগের স্তান সংসারে । কেহ বলিতে পারেন যে, অন্য অবতারে যদ্যপি বকলম! দেওয। যায়, তাহা হইলে চলিবে কি না ? যে অবতারেরা যে ভাব প্রচার করিয়া গিয়াছেন সেই ভাব অবলম্বন করা বিধেয় । বকলুম দিতে এক রামকৃষ্ণই বলিতেন, অতএব বকল্মার ভাবে রামকৃষ্ণই অদ্বিতীয় । বর্তমান কালে রামকৃষ্ণই একমাত্র উপায় এবং অবলম্বন । আমর। সকলেই মন বিহীন হইয়া সংসারে ছায়ার ন্যার ঘুরিয়া বেড়াইতেছি। মনের শক্তি নাই—বল নাই, ভগবানের ভাব ধারণা করিব কিরূপে ? ভগবানকে চিন্তা করিব কিরূপে ? এই দুৰ্ব্বল মন লইয়া যখন সংসারে সাধনা করা যায় না, কামিনীকাঞ্চন বিশিষ্ট মন লইয়া যখন বনে ও বাস করা যায় না, তখন আমাদের উপায় কি হইবে ? সাধন ব্যতীত ভগবানের কৃপা লাভ করা যায় না, কিন্তু আমরা সাধনে অসমর্থ। প্রাণে উত্তেজনা হইলে যদিও সংসারেই ভগবানকে লাভ করা যায় বটে কিন্তু সে উত্তেজনাও নাই। এমন সময় উপস্থিত হইয়াছে । আমাদের কোন উপায় নাই বলিয়া, কোন অবলম্বন নাই বলিয়া, কোন সহায় নাই বলিয়া ভগবান স্বয়ং জীবের হিতার্থে আপনি সাধকরূপে অবতীর্ণ হইয় আপনার কার্য্য আপনি সাধনপূৰ্ব্বক সাধন ফল জীবের জন্য রাখিয়া গিয়াছেন । আইস কে সাধন লইবে ? একৰার রামকৃষ্ণ নাম