পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১১৫ ] বল, আর অঞ্জলি পূরিয়া সাধন ফল লইয়া যাও। যে কোন শ্রেণীর সাধক হউক, হিন্দু হউক, খৃষ্টান হউক, মুসলমান হউক, রামকৃষ্ণে সকলের অধিকার । সকলেই নিজ নিজ ভাব রাখিয়া, জাতি রাখিয়া, সমাজ রাখিয়া, ধৰ্ম্ম রাখিয়া রামকৃষ্ণের দোহাই দিয়া আপনার সাধ মসাইয়া লইয়া যাউক । অতি শুভসমাচার—অসমর্থ অসমর্থাদিগের পক্ষে অমৃত কথা ; একথা কেহ কখন ইতিপূৰ্ব্বে শুনেন নাই যে, নিজভ’ব বজায় রাখিয়া এক নামে সকলেই সিদ্ধ মনোরথ হইবেন । যাহার সাধন কৱিবার সাধ থাকে, তিনি স্বচ্ছন্দে বন গমন করিতে পারেন, কিন্তু কয়জনের এ সাধ পূর্ণ হইতে পারে? আমরা সকলেই সংসারী, আমরা সকলেই কামিনীকাঞ্চনের আশ্রয়ীভূত,আমরা শারীরিক এবং মানসিক নিতান্ত দুৰ্ব্বলাৰস্থায় পতিত হইয়া রহিয়াছি, ধ্যানের সাধ হঠলেও আমরা বনগমন করিতে পারিব না । আমাদের কি হইবে ? আমির। কোথায় যাইয়া সাধন করিব ? মন নাই যে, মনে ধ্যান করিব । মনের সামর্থ্য নাই যে বনে যাইয়া ধ্যান করিব, মনের পূর্ণত শক্তি নাই যে তপশ্চরণ করিব, আমাদের স্থান কোথায় ? যদ্যপি একথা আমরা এ কবার ভাবিয়া দেখি, তাহ হইলে দশদিক শূন্তময় বোধ হইবে । তাই বলতেছি যে, এ প্রকার নরনারীদিগের সাধনের স্থান ঐত্রীরামকৃষ্ণদেবের শ্ৰীচরণ। তাহার শ্রীচরণ ব্যতীত এ প্রকার নরনারীদের আর ষ্টান নাই । দিন গেল । বৃথা কুতর্কে দিন যাপন না করিয়া, বৃথা অভিমানে বিলুণিত না হইয়া, সংকীর্ণ জ্ঞানগৰ্ব্বে গৰ্ব্বিত না হইয়া মনে মনে রামমঞ্চ বলিয়া দেখুন, নামের গুণে কি ফললাভ হয় ! আমি বার বার পুলিতেছি যে, তগৰান এক অদ্বিতীয়, তাহার ভাবও এক অদ্বিতীয়, থে সময়ে সেই ভাব—সেই প্রকৃত ভগবৎ ভাব—হৃদয়ে উপস্থিত হইবে,