পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১২৮ } কিন্তু আমি অতিশয় দুৰ্ব্বল ; প্ৰভু কেন যে এই ভৃত্যকে এই বিষম কার্য্যে নিয়োজিত করিয়াছেন, তাহা তিনিই জানেন। প্রভু যাহা বলাইবেন, আমি তাহাই বলিতে চেষ্টা করিব, কিন্তু বলিবার দোষে যদ্যপি আপনার বুঝিতে না পারেন, সে জন্য আপনারা আমায় দয়া করিবেন । তাহা হইলে আপনার। এই সিদ্ধান্ত করিয়া লইবেন যে, আমিই অভিমানের বশবৰ্ত্তী হইয় আপনার জ্ঞান গরিমার পরিচয় দিতে আসিয়াছিলাম। যদ্যপি এই প্রস্তাবটার মীমাংসা হয়, তাহ হইলে তাহ রামকৃষ্ণদেবের করুণা জানিয় তাহার জয়ধ্বনি দিবেন। রামকৃষ্ণদেব সকল ধৰ্ম্মপ্রণালী সত্য বলিয়া উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন। তিনি নিজে সাধক হইয়া গুরুকরণপূর্বক সাধনাদ্বারা ধৰ্ম্মপন্থাবিশেষের চরমাবস্থায় উপনীত হইয়া ধৰ্ম্ম সমন্বয় করিয়া বলিয়াছিলেন যে, যে যেরূপেই উপাসন করুক না কেন, তাহার মনোবাঞ্ছা সিদ্ধির বিঘ্ন হইবে না। এই কথাটা সৰ্ব্বপ্রথমে শ্ৰীকৃষ্ণ উচ্চারণ করিয়াছিলেন, রামকৃষ্ণদেব তাহার প্রত্যক্ষ প্রমাণ দিয়া গিয়াছেন । এসম্বন্ধে আমি বার বার অনেক কথা বলিয়াছি। যদ্যপি শ্ৰীকৃষ্ণকথিত এবং রামকৃষ্ণ মীমাংসিত, যে, যেরূপে, যে ভাবে, যেমন করিয়া উপাসনা বা সাধন করিবে, সেইরূপে সেই ভাবে এবং তেমনি কার্য্যের দ্বারা ভগবানকে লাভ করিবে, এই কথায় বিশ্বাস করিতে হয়, তাহা হইলে অধিকারী সম্বন্ধে একেবারেই নিদিষ্ট বিধি হইতে পারে না। যে, যেরূপে, যে ভাবে অর্থে ব্রাহ্মণ বুঝায় না। কারণ কার্ষ্যক্ষেত্রে দেখা যাইতেছে ঘ, কেবল ব্রাহ্মণ কেন হিন্দু ব্যতীত অন্যান্য জাতিরাও ভগবানকে লাভ করিয়া শাস্তিময়ের শান্তি ছায়ায় উপবেশনপূর্বক দিনযাপন করিয়া যাইতেছেন । যদ্যপি কেহ তাহাতে এই বলিয়। আপত্তি করেন যে, তাহা তাহাদের ভ্রম, তাহা তাহাদের আত্মপ্রতারণা, তাৰ