পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ రిషి ] আমাদের আদ্যকার উদ্দেশ্য সমর্থন জন্য যে পৰ্য্যন্ত প্রয়োজন, সেই পৰ্য্যস্ত বলিলাম, এক্ষণে বুঝা যায় যে, ব্রাহ্মণই যে সমগ্র অধিকারী: তাহা নহে। কুতার্কিকদিগের সন্দেহ ভঞ্জনার্থ অন্যান্ত অবতার কর্তৃক নীচ জাতির কৃপা লাভ করিবার দৃষ্টান্ত প্রদত্ত হইতেছে। রামাবতারে গুহক চণ্ডাল পবিত্র হইয়াছিলেন, রাক্ষসেরা কৃতার্থ হইয়াছিলেন, পশুজাতি বানরবৃন্দেরা কৃতার্থ হইয়াছিলেন, তখন সাধারণ মনুষ্যেরা কেন তাহাকে লাভ করিবার জন্য সাধনা কার্য্যে অধিকারী না হইবেন ? যদ্যপি একথা বলা হয় যে, তাহারা দেবত, ভগবানের লীলার পুষ্ঠিপোষানার্থে ঐ প্রকার নিকৃষ্ট জন্তু ভাবে জন্মিয়াছিলেন, তাহ হইলেও প্রত্যক্ষ ঘটনার দোষ জন্মিতেছে না । তাহার কেহই ব্রাহ্মণ কুলে জন্ম গ্রহণ করেন নাই, ইহা স্থির সিদ্ধান্ত । অতএব ব্রাহ্মণ ছাড়া এমন কি জীব জন্তুও ভগবানের সহবাস লাভ করিতে পারেন । অনেকের মত এই এবং আজ কাল অনেক কৃতবিদ্য পণ্ডিতপ্রবরের অনুমান করেন, স্নায়ুরুন্দের শক্তি সঞ্চালনে উদ্ধাধোগতি অবলম্বনপূৰ্ব্বক ধৰ্ম্মবৃত্তিটা পশুদিগের মস্তিষ্কে প্রকাশিত হইতে পারে না বলিয়া বৃথা সিদ্ধান্ত করিয়া থাকেন। রামচন্দ্র প্রভুর হনুমানাদির বৃত্তাস্ত বোধ হয় তাহারা বিশ্বাস করেন না । অথবা যেমন অনেকে হনুমানাদিকে ব্যক্তিবিশেষের নাম নির্দেশ পূৰ্ব্বক কবিতার অতিরঞ্জিত ভাব বলিয়া নিশ্চিন্ত হইয়া থাকেন । আমরা এই শ্রেণীর পণ্ডিতদিগের সহিত সহানুভূতি করিতে একেবারেই অশক্ত। প্রথমতঃ হনুমান বাস্তবিক লাজুলধারী বানর শ্রেণীর পশু ছিলেন। সে কথায় আমাদের অনুমাত্র সন্দেহ নাই । কারণ রামকৃষ্ণদেব বলিয়াছেন যে, তিনি যখন রামমন্ত্রে হনুমানের ভাব সাধনা করিয়াছিলেন, সে সময়ে তাহার মনুষ্য স্বভাব পরিবর্তিত হইয়া গিয়াছিল । তিনি যে সময়ে