পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৩৪ ] স্থল চক্ষে এপেল পড়া ঘটনা, স্তন্ম বা মানস বা জ্ঞান চক্ষে আকর্ষণী শক্তি দর্শন ও উপলব্ধি করিয়া সত্য বাহির করিয়া দিয়া গিয়াছেন । অতএব ঘটনা ত্যাগ করিয়া কেবল কল্পনার রাজ্যে বাস করিলে কার্য্যক্ষেত্রে দয়ার পাত্র হইয়। যাইতে হয় । রামকৃষ্ণদেব হকুমানের সাধনের সময় যে কেবল বাহাকৃতি এবং ভাববৈলক্ষণ্যের পরিচয় দিয়া গিয়াছেন, তাহা নহে। হনুমান রাম সীতার যুগল মূৰ্ত্তি হৃদয়ে জমাইয়। রাখিয়াছিলেন । তিনি ঐ যুগল মূৰ্ত্তি যাহাতে না দেখিতেন, তাহাতে তাহার মন অবনত হইত না । রাবণ নিধনের পর জানকীর উদ্ধার কার্য্য পরিসমাপনশন্তে রামচন্দ্র অযোধ্যায় রাজদণ্ড গ্রহণ করিলে লক্ষণ ঠাকুর হনুমানকে অতি মূল্যবান মোতীর মালা পারিতোষিক দিয়াছিলেন । হকুমান রামসীতার মূৰ্ত্তি দর্শন করিবার নিমিত্ত সমুদয় যুক্তামাল৷ দ্বিখণ্ড করিয়াছিলেন, হনুমানের সেইরূপ ঘটনায় লক্ষণঠাকুর হকুমানের ভাব না বুঝিয়াই বাকুরে বুদ্ধি বলিয়া হাসিয়া ছিলেন । লক্ষণ ঠাকুরের ন্যায় স্থল দষ্টার রামকৃষ্ণের এই ঘটনায় উপহাস করিতে পারেন, কিন্তু লক্ষণ ঠাকুর যখন হনুমানের ভাব শ্রবণ করেন, তখন তাহার জ্ঞান চক্ষের একটা দ্বার খুলিয়া গিয়াছিল । হনুমানের ভাল সাধনকালীন রামকৃষ্ণদেব যে স্থল ঘটনা প্রকাশ করিয়া গিয়াছেন, তদ্বারা বর্তমান কালের বৃথা জ্ঞানান্ধ এৰং কল্পনার রাজ্য নিবাসীদিগের ভ্রমপ্রমাদ নিবারণের উপায় হইলে । যাহাদের বিশ্বাস যে, মস্তিষ্কের যে অংশ বৰ্দ্ধিত না হইলে ধৰ্ম্মরুত্তি জন্মিতে পারে না, তাহাদের শিক্ষার নিমিত্ত রামকৃষ্ণের এই হকুমানে সাধনার বিশেষ প্রয়োজনীয় হইবে । হনুমান বাস্তবিক পশু ছিলেন এবং তজ্জন্য রামকৃষ্ণদেব মনুষ্যাকারেও সাময়িক পশুভাবের অভিনয় করিয়া গিয়াছেন, কিন্তু সেই অবস্থায়