পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ x86 ) জানেন। লক্ষ্মী পূজার কথায় প্রকাশ আছে যে, এক দীন দরিদ্র ব্রাহ্মণী ছোট ছোট বালক বালিকা লইয়া অন্নাভাবে সৰ্ব্বদা ক্লেশ পাইতেন । তিনি কিয়দিবস অন্নকষ্ট সহ করিয়া পরিশেষে স্থির করিলেন যে, আমি অনাহারে মরি তাতে ক্ষতি নাই, কিন্তু শিশুদিগের আর শুষ্ক বদন দেখিতে পারি না । যখন তাহারা “মা খিদে পাইয়াছে” বলিয়া গ্রীব ধারণ করে, কঠিন প্রাণ তাহ শুনিয়াও দেহে অবস্থিতি করে । এই ঃখের অবধি হইল না, হইবারও কোন উপায় নাই । তিনি ইতস্ততঃ ভাবিয়া জীবনের ভার পরিশেষ করিবার অভিপ্রায়ে একটা বিষাক্ত সৰ্প আনাইয়। হাড়িতে জল পূরিয়া সিদ্ধ করিতে আরম্ভ করিলেন। মনে মনে স্থির করিয়া রাখিলেন যে, এই বিষাক্ত জল পান দ্বারা আমি নিজের এবং ছেলেকটীর প্রাণনাশ করিয়া ক্লেশের পরিসমাপ্তি করিব । ক্রমে র্তাহার নিদ্রাকর্ষণ হইল। ছেলেগুলিও ঘুমাইয়া পড়িল । এমন সময়ে লক্ষ্মীদেবী সেই স্থান দিয়া গমন করিতেছিলেন । ব্রাহ্মণী প্রাণের জালায় প্রাণ বিনাশ করিবেন স্থির করিয়া প্রাণপণে মা ম৷ বলিয়া প্রাণে প্রাণে ডাকিয়াছিলেন । জগন্মাতা তৎক্ষণাৎ তথায় উপস্থিত হইয়া ব্রাহ্মণীর মুখের দিকে দৃষ্টিপাত করিলেন। ব্রাহ্মণী চাহেন কাঞ্চন। যদিও সর্প ফুটাইতেছিলেন, যদিও স্থলে তাহার বিষের প্রয়োজন ছিল, কিন্তু কাঞ্চন হইতে সেই স্থূলভাব প্রস্থত হয় বলিয়া মাতা স্থম্মভাবরূপ কাঞ্চনের প্রতি দৃষ্টি করিলেন, বিষধর ও বিষজল কাঞ্চনে পরিণত হইয়া যাইল। এই জন্য কামিনীকাঞ্চনের সংস্রব রাখিয়া সাধনা করিতে যাইলে কখন আশা ফলবতী হয় না। কখন কি ভাবে যে কি প্রকার ফলদান করে, তাহার কিছুই স্থিরতা নাই। সঙ্কল্প বা বাসনা এতদূর সাধন পথের বিন্ন জন্মাইয়া থাকে। যাহাতে ইহা একেবারে মনের অধিকারবহিভূত হইয়া যায়, তাছা 3 e