পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S89 | করাই সাধকের কৰ্ত্তব্য এবং এই প্রকার অবস্থাপন্ন নরনারীই সাধনের অধিকারী এবং অধিকারিনী । কথায় আছে, “এক রামে রক্ষা নাই, দোসর লক্ষ্মণ” । কামিনীকাঞ্চনের এক সঙ্কল্পই ভাবরূপে বিভু দরশনে সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত করিয়া রাখিতে পারে, কিন্তু যদ্যপি তাহাদের কার্য্য হয়, তাহা হইলে আর রক্ষা নাই । যদ্যপি কামিনীকাঞ্চন সম্ভোগ করা যায়, তাহা হইলে কখন সাধনা পথে পরিভ্রমণ করিতে পার। যায় না। কাঞ্চনসম্ভোগীর মন কাঞ্চনময় হইয়া যায়। কাঞ্চনের বিরহে মন শরীর হইতে বিখণ্ডিত হইয়া পড়ে। যেমন কাহারও জমিদারী হস্তান্তর হইলে তাহার সঙ্গে মনও চলিয়া যায়। সে ব্যক্তি সৰ্ব্বদাই মৰ্ম্মপীড়নে অভিভূত হইয়৷ থাকে। যদ্যপি সে ব্যক্তি সাধন করিতে যায়, তাহ হইলে মন স্থির করিবার কালে জমিদার তাহাকে দিক্‌ ভ্রান্ত করিয়া লইয়া যাইবে । সুতরাং সাধনায় কোন ফল হইবে না। কামিনীর দ্বারা গুরুতর ব্যাপার সাধিত হয়। কথিত হইয়াছে যে, মস্তিষ্কে মনের স্থান । কামিনী সম্ভোগে মস্তিষ্ক দুৰ্ব্বল হয়, সুতরাং মানসিক চিন্তা করিবার শক্তি বিলুপ্ত হইয়া থাকে। সঙ্কল্প এবং ক্ষয় স্বারা মন কিরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহার হেতু নিরূপণ করিতে না পারিলে সাধনের অধিকারী বিষয় মীমাংসা হইতে পারে না। মস্তিষ্ক কি পদার্থ এবং কি প্রকারে জন্মায়, এই সকল বিষয় লইয়া আমাদের আলোচনা করা এ স্থলে অনধিকার চর্চা হইবে । মস্তিষ্কের কাৰ্য্য কলাপ, ঘটনার দ্বারা আমরা কিয়দৃ পরিমাণে বুঝিতে পারি, তজ্জন্ত আমি মস্তিষ্কের কার্য্য লইয়৷ কিঞ্চিৎ বিচার করিব । L♥ আমরা যাহা কিছু চিন্তা করি বা বুঝিতে চেষ্টা করি, তাহ মন, বুদ্ধি এবং অহঙ্কার দ্বারা সমাধা করিয়া থাকি। অহঙ্কার অর্থাৎ আমি