পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 58% J আছি, এই জ্ঞান উপলব্ধি করা মনের কার্য্য, যাহার দ্বারা উপলব্ধি করা যায়, তাহাকে বুদ্ধি বা বিচার কহে। যেমন, আমি গোলাপ ফুল দেখিতেছি । আমি, অহঙ্কার, দেখিতেছি কি ? ফুল, ইহা মনের কাৰ্য্য ; কি ফুল ? এই বিচার, বুদ্ধির দ্বারা সাধিত হয়। সচরাচর আমরা এই তিন ভাবে সকল কার্য্য করিয়া থাকি। যতক্ষণ অামাদের মস্তিষ্ক স্বাভাবিক ভাবে থাকে, ততক্ষণ আমরা অবস্থাসঙ্গত সকল বিষয় লইয়া ভাবিতে পারি, ধারণা করিতে পারি এবং বিচারও করিতে পারি। আমাদের বাল্যাবস্থায় মন, বুদ্ধি এবং অহঙ্কারের কাৰ্য্য আরম্ভ হয়, তাহাও আমরা বুঝিতে পারি। গাছ দেখিলে তাহার ভাব মনে পতিত হয়, আপনি বুদ্ধি আসিয়া বলে এটা কি ? যত অহঙ্কারের বৃদ্ধি হয়, ততই মানসিক শক্তি বৃদ্ধি হয় এবং ততই বিচার করিবার, শক্তিলাভ করিবার শক্তি সঞ্চারিত হইয়া থাকে। যেমন,গাছ কি বস্তু,এক সময়ে যে মন ধারণা করিতে পারে না, সেই মন সময়ক্রমে তাহার মহাকারণ পর্য্যন্ত আয়ত্তে আনিতে পারে । যে মন এক সময়ে দুই দু গুণে চারি ধারণ করিতে অসমর্থ হয়, সেই মন গণিতাদির উৎকট গণনায় সুপণ্ডিত হইয়া থাকে। যে মন চন্দ্র স্বৰ্য্যকে সোনারূপার থালা বলিয়া বুঝিয়া থাকে, সেই মন উহাদের গতি বিধি ও অবস্থা সুচারুরূপে জ্ঞাত হইতে পারে। অতএব অহস্কার পরিবদ্ধনের সহিত মন ও বুদ্ধির পরিবর্তন এবং উৎকর্ষ ও অপকর্ষ সাধন হয়, ইহা স্থূল ঘটনা । শরীর-তত্ত্বানুসারে অবগত হওয়া যায় যে, মোটের উপর সপ্তমবর্ষ বয়সে প্রায় সকলের মস্তিষ্ক শীঘ্র শীঘ্ৰ বিস্তীর্ণ হইয়া থাকে। তৎপরে ঘোড়শ হইতে বিংশতি বর্ষ বয়স পর্য্যন্ত ইহার বৃদ্ধির ক্রম অনেক পরিমাণে কমিয়া আইসে, কিন্তু তথাপি আয়তনে এবং গঠনে বৰ্দ্ধিত হইয়।