পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৫৮ ] দেহ লাভ করিতে পারেন না । যে সময়ে এইরূপ সংঘটনা না হয়, তাহার অন্ত রূপে অবস্থিতি করেন । যদিও শুক্রস্থিত কীটগুলিকে মরিয়া যাইতে দেখা যায়, কিন্তু বাস্তবিক তাহদের চৈতন্য বিনষ্ট হয় না। যেমন মানুষ মরিয়া যাইলে তাহার শব দেহ পতিত থাকে, কীটদিগের সম্বন্ধেও তাহাই অনুমান করিতে হইবে তাহারা জরায়ুর ড়িম্ববৎ পদার্থ পাইলে তথায় বৰ্দ্ধিত হইয়া থাকে। যদ্যপি তাহা না পায়, তাহা হইলে যে কি ভাবে তাহারা অবস্থিতি করে, তাহার মীমাংসা করা অতিশয় দুরূহ ব্যাপার। রামকৃষ্ণদেব বলিয়াছেন যে, তিনি রসের সাধনা করিয়াছিলেন । যদ্যপি কেহ রসিক থাকেন, তিনি তাহা বুঝিয়াছেন । কিন্তু সাধারণে তাহার অভ্যন্তরে প্রবেশ করিতে পারিলেন না। এই সাধন অতিশয় গুহ্যতম । যাহাতে সাধারণে তাহা না জানিতে পারেন, এমন সাবধানে সাধকেরা নিজ নিজ ভাব গোপন করিয়া রাখেন ; আমার তাহ প্রকাশ করিয়া দেওয়া উচিত নহে । তজ্জন্য আমি অনেক সময়ে গুপ্ত সাধন বলিয়া উহ। উল্লেখ করিয়াছি । কিন্তু কি করিব অদ্য অনন্তোপায় হইয়া তাহ সাধারণের সমক্ষে প্রকাশ করিতে বাধ্য হইয়াছি । একথা প্রকাশ হইলে ক্ষতি অপেক্ষা লাভের পরিমাণ অধিক হইবে । রসের কাজ বলিয়৷ এই সাধনা প্রসিদ্ধ। ইহাতে শোণিত, শুক্র, মল, মূত্র এবং মুখের লাল, এই পাচ প্রকার রসের দ্বারা সাধকের সাধনা করেন । এই সাধনায় অবষ্ঠ কোন প্রকার উদ্দেশু সাধন হয়, তাহার সন্দেহ নাই। কোন শ্রেণীর সাধকের এই প্রকার সাধন করেন, তাহ আমি বলিব না । রামকৃষ্ণদেব ভারতবর্ষীয় প্রচলিত সমুদয় সাধনা সম্পন্ন করিয়া গুপ্ত সাধনের মধ্যে কতকগুলি বাদ দিয়া কতকগুলি সাধন করিয়াছিলেন : এই রসের সাধনের সময় তিনি বলিয়াছেন যে, তিনি যখন শুক্রের