পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

J رو به لا ] চিরপ্রসিদ্ধ বিধি, তাহ কেহ কখন খণ্ডন করিয়া যাইতে পারেন নাই । অদ্য নুতন ব্যবস্থা হইবে কেন ? সত্য যুগে মানবের কামিনীকাঞ্চন পরায়ণ ছিলেন না, তাহারা সেইজন্য সাধনের অধিকারী ছিলেন এবং যুগধৰ্ম্মে তাহাই ব্যবস্থা ছিল । ত্রেতা, দ্বাপর এবং কলিতে ধ্যানের উল্লেখই নাই। তদুরা অধিকারীর ইতর বিশেষ বুঝাইতেছে । সত্যতে যে সাধনার ব্যবস্থ ছিল, সত্যতে যে নিয়মাদি প্রতিপালন পূৰ্ব্বক সমাধি মন্দিরে প্রবেশ করিবার অধিকার হইত, এক্ষণে সেই অবস্থা লাভ করিলার অন্ততঃ মনে স্থান দিতে পারে, এমন ব্যক্তির অভাব । ভগবানের নিয়ম পরিবর্তনশীল মহে । যে নিয়মের দ্বারা যে ফল ফলে, তাহ সেই নিয়মে চিরকাল চলিয়া থাকে। স্থল ত্যাগ করিয়া মহাকারণে যাইতে হয়, ইহা তখন এবং এখন সমান ভাবে আছে । যে ভাবে তখন কার্য্য হইত, সে ভাব না হইলে এখন সেই কাৰ্য্য হইবে কিরূপে ? কার্য্যের দ্বারা ফললাভ হয় । যেমন কাৰ্য্য, তাহার ফলও তদ্রুপ হইয়া থাকে। তখনকার সময়ে কামিনীকাঞ্চন বুদ্ধি যাহার না থাকিত, তিনিই পরমাত্ম লাভ করিতেন। কিন্তু এই ঘোর কলিকালে কামিনীকাঞ্চনে সিদ্ধ হইয়া পরমাত্মা লাভ করিবেন বলিয়া ধারণ হওয়াও আশ্চর্য্যের বিষয় । রামকৃষ্ণদেব সাধনের অধিকারী সম্বন্ধে যাহা বলিয়া গিয়াছেন, তদ্বারা এই বুঝা যাইতেছে যে, বর্ণ হিসাবে সাধনার অধিকারী বিষয় নিৰ্দ্ধারিত হয় নাই। কামিনীকাঞ্চনে বিভাজিত না হইলে সাধন সম্বন্ধে ব্রাহ্মণের যে অধিকার, একজন নিক্লষ্ট শূদ্র অথবা যবন, কিম্বা স্নেচ্ছেরও সেইরূপ অধিকার, ব্রাহ্মণ যদ্যপি অবিশ্বাসী হন, যদ্যপি মিথ্যাবাদী হন, যদ্যপি লম্পট হন, যদ্যপি মাতাল হন, যদ্যপি প্রতারক হন, তাহা হইলে কি তিনি সাধন করিতে অধিকারী হইবেন ? ব্রাহ্মণ